দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ভালুকা ও নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় দুই স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।

আজ সোমবার র‌্যাব-১৪ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভালুকার কোল্লাবো গ্রামের আকবর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর ও একই এলাকার মো. শহীদ শেখ। অন্যদিকে লিমন নেত্রকোনা কলমাকান্দার খারনৈ ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে গত ৮ জানুয়ারি এক স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরিচয় গোপন করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে নির্যাতিত ছাত্রী গত মঙ্গলবার ভালুকা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় রোববার রাতে ভালুকা থেকে অভিযুক্ত মো. জাকির হোসেন জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি মো. শহীদ শেখকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা র‌্যাবকে জানায়, সুমন নামে মিথ্যা পরিচয় গিয়ে ছাত্রীটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তারা। পরে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়।

অন্যদিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর উপজেলার খারনৈ এলাকায় ছাত্রীটি ধর্ষণের শিকার হয়। একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে খারনৈ এলাকার মধ্যপাড়ায় পৌঁছলে লিমন মিয়া ওরফে বাব্বা (২০) ও রুবেল মিয়া (২২) নামে দু'জন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয় শাহ আলম মিয়া (৩২) বাঁচাতে এগিয়ে গিয়ে নিজেও ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বোন গত বুধবার অভিযুক্ত তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি লিমনকে নেত্রকোনার বটতলি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।