চমেক হাসপাতালে এবার কাঁচামাল সংকটে বন্ধ ডায়ালাইসিস সেবা

ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৪:৫০ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৪:৫০
এবার কাঁচামাল সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেবা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর।
চমেক হাসপাতালের নিচতলায় থাকা ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের টাঙিয়ে দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত নভেম্বর থেকে ডায়ালাইসিসের কাঁচামাল সরবরাহকারী অনেক প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং কেউ পূর্ণাঙ্গ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। যে কারণে কাঁচামালের সংকট তৈরি হয়েছে। এতদিন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে নগদ টাকায় মালপত্র কিনে ডায়ালাইসিস সেবা চালু রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমানে আমাদের হাতে যথেষ্ট টাকা না থাকার কারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল স্বল্পতায় আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। যেহেতু ডায়ালাইসিস সেবা অত্যন্ত স্পর্শকাতর জরুরি সেবা, সেহেতু সংশ্লিষ্ট সব রোগীকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অগ্রিম অনুরোধ করা হয়। বিগত বছরে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়ার বিপরীতে এখনও ৩১ কোটি টাকা স্যান্ডরের পাওনা রয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।
স্যান্ডরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আজ সকাল থেকে প্রতিদিনের মতোই সেবা কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুরের দিকে প্রয়োজনীয় কিছু কাঁচামাল সংকটের কারণে সেবা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা সাধারণত ভেন্ডর নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডায়ালাইসিসের কাঁচামালগুলো কিনি। তবে এরই মধ্যে তাদের কাছে বড় অঙ্কের টাকা বকেয়া থাকায় তারা আর প্রয়োজনীয় মেডিসিন আমাদের সরবরাহ করছে না। ডায়ালাইসিস সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুপুর ১২টায় ডায়ালাইসিস সেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। হঠাৎ করেই ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। স্যান্ডর প্রতিষ্ঠানটি কাঁচামাল সংকটের কথা বললেও এটি বকেয়া টাকা আদায়ের একটি কৌশল তাদের। গত বছরও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করেছিল তারা। গত বছরের ৪ জানুয়ারি একই কায়দায় নোটিশ টাঙিয়ে সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানো ও ভর্তুকি সুবিধা কমানোর প্রতিবাদে ৭ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভ শুরু করে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কিডনি রোগী ও স্বজনরা। দাবি আদায়ে ১০ জানুয়ারি হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় রোগী ও স্বজনের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এক পর্যায়ে তাঁদের ওপর হামলাও চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি কিডনি বিকল থাকা নাসরিন আক্তার নামে এক রোগীর কলেজ পড়ূয়া ছেলে মো. মোস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
- বিষয় :
- কাঁচামাল সংকট
- চমেক হাসপাতাল
- ডায়ালাইসিস