মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্জাগরণে একুশে বইমেলার আয়োজন: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৪:০৪ | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৪:০৮
গতকাল বুধবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত একুশে বইমেলার উদ্বোধনকালে মেয়র এ মন্তব্য করেন। বইমেলার মাধ্যমে মিথ্যার প্রসাদ ভেঙে জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্জাগরিত করতে এই বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, একাত্তরে যে চেতনার ভিত্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পুরো জাতি এক হয়ে লড়েছিল সে চেতনার ধারা আজ দুর্বল হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ক্ষমতা দখল করে জনগণের মগজধোলাই করে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, রাষ্ট্র উন্নয়নে চাই শিক্ষার উন্নয়নে। আর ভালো মানের বই ছাড়া ভালো শিক্ষাব্যবস্থা গড়া সম্ভব নয়। এই বইমেলা চট্টগ্রামের হাজারও বইপ্রেমীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে, যা আমাদের একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে সাহস যোগাবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু), কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুস সালাম মাসুম, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তছলিমা বেগম নুরজাহান, রুমকি সেনগুপ্ত, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন প্রমুখ।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া দেশের খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন।