শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনা
মরদেহের নিচে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে কাঁদছিলেন মা

প্রাণে বেঁচে যাওয়া সাজ্জাদ ও তার মা আনোয়ারা। ছবি-সমকাল
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩ | ০৬:০৫ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ | ০৬:২৭
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কুতুবপুর সীমানা এলাকায় রোববার ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এসময় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
তবে এই দুর্ঘটনায় ইমাদ পরিবহনে থাকা ৭ বছরের শিশু সাজ্জাদ ও আনোয়ারা (২৮) সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় তাদের অক্ষত থাকা সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই কাল্পনিক মনে হচ্ছে। মরদেহের নিচ থেকে যখন আনোয়ারা ও তার সন্তানকে উদ্ধার করা হয় তখন তিনি তার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন।
তাদেরকে দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে অনেক মানুষ। আনোয়ারা বাগেরহাটের মোল্লার হাট উপজেলার গারবা গ্রামের ব্যবসায়ী শাহিন মোল্লার স্ত্রী।
জানা যায়, রোববার ভোর রাতে বাগেরহাট থেকে আনোয়ারা তার ছেলেকে নিয়ে ইমাদ পরিবহনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ঢাকায় অসুস্থ আত্মীয়কে দেখার জন্য যাচ্ছিলেন।
আনোয়ারা বলেন, চালকের বাম পাশের আসনে বসেছিলাম, আমার ছেলে আমার কোলে ছিল। বাসের বাম পাশের টায়ার পাংচার হয়ে যায়। এরপর গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। আল্লাহ আমাদের দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমার আর ছেলের গায়ে একটুও আঁচড় লাগেনি।
তিনি বলেন, গাড়ি ছাড়ার শুরু থেকেই অনেক বেশি গতিতে চলছিল।
আনোয়ারা ও তার ছেলে সাজ্জাদকে উদ্ধার করা মাহাবুব আলম জানান, আমরা বাস থেকে প্রথমে মরদেহ বের করছিলাম। এরপর দেখি মরদেহের নিচে পড়ে থাকা আনোয়ারা তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। এরপর মা ও সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি।
আনোয়ারার স্বামী শহিদুল মোল্লা বলেন, বিধাতার কাছ থেকে আমার সন্তান ও স্ত্রী কে নতুন করে আবার ফিরে পেয়েছি। বিধাতা আমাকে এতো বড় উপহার দিবে কখনো বুঝতে পারিনি। আমি বিধাতার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
- বিষয় :
- শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনা
- নিহত
- আনোয়ারা