ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

একজনকে শায়েস্তা করতে ৩ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ

একজনকে শায়েস্তা করতে ৩ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ

ছবি: সমকাল

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩:৫৫ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩:৫৫

কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের বিনইল গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে একজনকে শায়েস্তা করতে তিন পরিবারের চলাচলের রাস্তা ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগেও রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেড়াটি তুলে দেন।

জানা যায়, শুধু তিন পরিবার নয়, রাস্তাটি দিয়ে পুরো গ্রামের মানুষ তাঁদের ফসলের মাঠে যাতায়াত করে। আগে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। বিচারক জনস্বার্থে রাস্তাটি খুলে দিতে নির্দেশ দেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া তুলে দেন। এরপরও সেখানে প্রাচীর তোলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সাল থেকে সাইদুর রহমান বাবা-মাসহ পরিবার নিয়ে বিনইল গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাস করে আসছেন। সামনের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ফজের আলী। তাঁর বাড়ির সামনের গলি দিয়ে পুরো গ্রামের লোকজন চলাচল করে। কয়েক মাস আগে সাইদুর রহমানের সঙ্গে ফজের আলীর বিরোধ শুরু হয়। এর জের ধরে হঠাৎ করেই ফজের আলী ওই রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মারধরের ঘটনাও ঘটে। এরপর রাস্তা বন্ধের বিষয়ে আদালতে মামলা করেন ফজের আলী। কিন্তু বিচারক জনস্বার্থে ওই রাস্তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। রায়ের কপি হাতে পেয়েই ফজের আলী ওই রাস্তা থেকে বাঁশের বেড়া তুলে ইটের প্রাচীর দিয়েছেন।

সাইদুর রহমান বলেন, আগে থেকেই ওই গলি দিয়ে গ্রামের লোকজন চলাচল করত। আমার সঙ্গে বিরোধের কারণে ফজের আলী পুরো গ্রামবাসীর রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি।

সাবেক ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুরো গ্রামের লোকজনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া অমানবিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। যে কোনো সময় এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে ফজের আলী বলেন, ‘আমার জায়গায় যা খুশি তাই করব। তাতে আদালত বা আপনাদের কী? সাইদুরকে আমার জায়গা দিয়ে চলাচল করতে দেব না। এতে যা হওয়ার হবে।’

উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের নিয়ে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছিল। আদালত থেকেও রাস্তাটি খুলে দিতে বলা হয়েছে। এরপরও কেন ফজের আলী সেখানে ইটের প্রাচীর দিলেন বুঝতে পারছি না। তবে কাজটি ঠিক হয়নি।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁশের বেড়া তুলে দিয়েছিলাম। ইটের প্রাচীর দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আদালতের রায় সম্পর্কে জেনেছি। রায় অনুযায়ী শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×