ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সরাসরি কৃষকের ধান কেনার দাবি

মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সরাসরি কৃষকের ধান কেনার দাবি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩ | ১৮:০০

মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ার পরিবর্তে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় কৃষকরা দাম বৃদ্ধিরও দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন-কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গতকাল বৃহস্পতিবার গোবিন্দপুর চৌরাস্তা মোড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। কৃষকদের এ দাবিকে যৌক্তিক বলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কৃষক নেতা জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক আলাল মিয়া, কৃষক সংগঠনের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম ফকির, শ্রমিক নেতা এবায়দুল ইসলাম, কৃষক নেতা কামাল উদ্দিন, সোহরাব মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সরকার প্রতি মৌসুমে ধান কিনলেও কৃষক সরাসরি গুদামে দিতে পারেন না। ফড়িয়ারা সস্তায় কিনে গুদামে দেন। এতে কৃষকরা বঞ্চিত হয়। তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র খোলার দাবি জানান তাঁরা। একই সঙ্গে পল্লি রেশনিং ব্যবস্থা ও মাসে ৫ হাজার টাকা বয়স্ক ভাতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

সরকার এবার প্রতি কেজি ধানের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। আন্দোলনকারীরা এ মূল্য প্রত্যাখ্যান করে ৪০ টাকা করার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। প্রতি মণ ধানে খরচ পড়ে সাড়ে ১২শ টাকা। নিজেদের শ্রমের মূল্য তো ধরাই হয় না। লোডশেডিংয়ের কারণে ডিজেল দিয়ে সেচ পাম্প চালাতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়েছে। ১৬শ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষিকাজে লাভ নেই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, সরকার এবার বোরো ধানের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩০ টাকা কেজি; ১২শ টাকা মণ। চালের ক্রয়মূল্য ৪৪ টাকা; এক হাজার ৭৬০ টাকা মণ। চাল মূলত মিল মালিকরা সরবরাহ করেন।

আব্দুস সাত্তার বলেন, ফড়িয়াদের কাছ থেকে ধান না কিনে মন্ত্রণালয়ের উচিত ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয়কেন্দ্র খুলে কৃষকের কাছ থেকে কেনা। না হলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবে না। পেঁয়াজ কৃষকদের কাছ থেকে ২৫ টাকায় কিনে মধ্যস্বত্বভোগীরা ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। এতে কৃষক ও ভোক্তা ঠকছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, কিশোরগঞ্জে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩০৩ টন। চালের লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার ৫২ টন। ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে ১০ টন সংগৃহীত  হয়েছে। তবে চাল সংগ্রহ শুরু হয়নি। ২০ বছর আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে ধান ক্রয়কেন্দ্র ছিল। অনিয়মের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে কেন্দ্র খোলা নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।

আরও পড়ুন

×