ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

একই দড়িতে ঝুলছিল মা-ছেলের লাশ

একই দড়িতে ঝুলছিল মা-ছেলের লাশ

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩ | ১১:২৭ | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ | ১২:০১

কুমিল্লার হোমনায় মা ও তার ২ বছর বয়সী ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হোমনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ফকির বাড়ি থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, ফকির বাড়ির জজ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়ার স্ত্রী সানজিদা আক্তার (২০) এবং তাদের ২ বছর বয়সী ছেলে মো. আব্দুল্লাহ।

একই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সানজিদার স্বামী বাবুকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

সানজিদা উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের রনি মিয়ার মেয়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে অভিযোগ করেছে সানজিদার বাবা-মায়ের পরিবার। তবে ছেলের পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, ৩ বছর আগে সানজিদার সঙ্গে বাবু মিয়ার বিয়ে হয়। আজ সকালে সানজিদার স্বামী কাজে বেরিয়ে যায়। এরপর সাড়ে ৮টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাবুর পরিবারের লোকজন আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনে। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তারা। এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সানজিদার বাবার অভিযোগ, স্বামী, শাশুড়ি ও ননদরা মিলে তার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে।

সানজিদার বড় ভাই মো. শরীফ মিয়া বলেন, ভাগনে আবদুল্লাহর জন্মের কিছুদিন পর বাবু মিয়ার সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সে সানজিদার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করে। কারণে-অকারণে তাকে মারধর করা হতো।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সানজিদার ভাই।

ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটির (সানজিদা) স্বামী, শাশুড়ি ও ননদরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল। এ নিয়ে ৫-৬ বার শালিস বৈঠকও হয়।

হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও ছেলের ফাঁস দেওয়া লাশ নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে। গৃহবধূর স্বামী বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×