স্বামী-শাশুড়িকে ফাঁসাতে গিয়ে প্রাণ যায় গৃহবধূর: পুলিশ
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ওই গৃহবধূর চাচাতো ভগ্নিপতি আরিফ সিকদার - সমকাল
পটুয়াখালী ও দুমকী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩ | ১১:৫৪ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ | ১২:০৩
স্বামী ও শাশুড়িকে ফাঁসাতে চাচাতো ভগ্নিপতির সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম। কিন্তু নিজের পরিকল্পনাতেই প্রাণ যায় তাঁর।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব জানান পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরিফ সিকদারের জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
আরিফ দুমকী উপজেলার কার্তিকপাশা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বরাতে পুলিশ সুপার জানান, অগ্নিকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন মীম নিজেই। এ পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছিলেন তাঁর আপন চাচাতো ভগ্নিপতি আরিফ সিকদার। স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের স্বামীকে ফাঁসাতে দুমকীর ভাড়া বাসায় তাঁকে ফোন করে ডেকে আনেন মীম। তাঁর পরিকল্পনা ছিল– নিজে অক্ষত থেকে শাশুড়িকে দোষী করা। কিন্তু পরিকল্পনা সফল হয়নি, নিজের পরিকল্পনাতেই তার প্রাণ যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় যেহেতু শাশুড়িকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, সেহেতু এখনই তাঁকে নির্দোষ বলতে পারি না। তদন্ত চলমান। তদন্তে তাঁর সম্পৃক্ততা না পেলে অভিযোগপত্রে তাঁর নাম বাদ যাবে। এরপর আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন দুমকীর নতুন বাজার এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীমসহ তাঁর ছয় মাস বয়সী সন্তানকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দগ্ধদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তাঁর সন্তানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় মামলা করেছেন গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক। ঘটনার দিন রাতেই তার শাশুড়ি এবং রোববার রাতে আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
