ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাস টার্মিনাল না থাকায় সড়কে ঝুঁকিতে যাত্রীরা

বাস টার্মিনাল না থাকায় সড়কে ঝুঁকিতে যাত্রীরা

বালিয়াকান্দি স্ট্যান্ডে সড়কের পাশে রাখা বিভিন্ন যানবাহন - সমকাল

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩ | ১৮:০০

রাজবাড়ী যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাইককান্দি গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম। হঠাৎ বৃষ্টি এলে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন তিনি। কিন্তু সেখানে কিছু বখাটে তাঁকে উদ্দেশ করে কটূক্তি শুরু করে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা শহরে যানবাহন দাঁড়ানোর নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় রোজিনার মতো আরও অনেকে এভাবে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, স্ট্যান্ডে নির্দিষ্ট যাত্রী ছাউনি নেই। কোনো টয়লেটও নেই। ফলে বালিয়াকান্দি স্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী হাজারো যাত্রী এবং যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা দুর্ভোগে পড়ছেন। নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বালিয়াকান্দি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ১৫ মিনিট পরপর রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অন্তত ৪০টি বাস ছেড়ে যায়। শতাধিক থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক ও ম্যাজিক গাড়ি নিয়মিত চলে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে রাবেয়া, সৌহার্দ ও সুবর্ণ পরিবহনের বাস ছেড়ে যায়। যানবাহনগুলোয় দিনে অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

তবে যাত্রীদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট যাত্রী ছাউনি নেই। বাস মালিক সমিতির ভাড়া নেওয়া জায়গায় আশ্রয় নিতে হয় তাঁদের। রোদ-বৃষ্টির মধ্যে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় সড়কে অথবা দোকানে। আইনজীবী শংকর স্যানাল জানান, তিনি বাস ও থ্রি-হুইলারে রাজবাড়ী আদালতে যাতায়াত করেন। অনেক সময় মাহেন্দ্রা ছাড়তে দেরি হলে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বালিয়াকান্দি স্ট্যান্ডে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পরের ট্রিপের জন্য জামালপুর-মধুখালী সড়কের কিছু অংশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। সারাদিন এভাবে সড়কের ওপর গাড়ি থাকায় মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে বলে জানালেন কয়েকজন।

বাসস্ট্যান্ডের কর্মী শশী সোম বলেন, ৪০ বছর স্ট্যান্ডের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে কোনো উন্নয়ন চোখে পড়েনি। নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তার কিছু অংশে দাঁড়িয়ে থাকে যানবাহন। বালিয়াকান্দিতে একটি টার্মিনাল এখন সময়ের দাবি। একটি পরিবহনের সুপারভাইজার মো. রাসেল মিয়া বলেন, যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি নেই। বৃষ্টি হলে ঢাকার যাত্রীদের জিনিসপত্র নিরাপদে রাখতে হিমশিম খেতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মিনি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য কাজ করছে পরিষদ ও প্রশাসন। এ জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। উপযুক্ত জায়গা পেলেই টার্মিনাল নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×