ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

দখল-দূষণে মৃত খাল

দখল-দূষণে মৃত খাল

দখল ও দূষণে ভাগাড়ে পরিণত হওয়া রামগতি উপজেলার বাজারসংলগ্ন খাল সমকাল

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০

রামগতি উপজেলার বাজারসংলগ্ন খালটি দখল ও দূষণে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লার-আবর্জনার স্তূপে প্রায় মজে গেছে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারে হাঁটু পানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। বছরের পর এভাবে চলতে থাকায় খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।

 সরেজমিন দেখা গেছে, রামগতি বাজারসংলগ্ন খালের ওপর শতাধিক দোকান ঘর। খালের যতটুকু অংশ রক্ষা পেয়েছে, সেখানেও ফেলা হচ্ছে বাজারের আবর্জনা। সেগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো নালা বা ড্রেন নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি উপচে পড়ে। বর্ষাজুড়েই জলাবদ্ধ থাকে এলাকাটি। মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে দখল হওয়া অংশ উদ্ধার ও আবর্জনা পরিষ্কার করা জরুরি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। না হলে খালটি অস্তিত্ব হারাবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, খালের ওপর দোকানপাট হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জায়গা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। দখলদারদের উচ্ছেদে প্রশাসনও কোনো উদ্যোগ নেয় না।

চরগাজী ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাম ছারওয়ার বলেন, বর্ষা মৌসুমে রামগতি বাজারে আসতে ইচ্ছে করে না। কাদামাটির সঙ্গে বাজারের আবর্জনা মিশে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে।

ব্যবসায়ী আরজু আমিন বলেন, বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় বাজার। প্রয়োজন ছাড়া কেউ কেনাকাটা করতে আসে না। অলস সময় পার করতে হয়। খালটি দখলমুক্ত করা হোক।

খাল দখল করে দোকান করা রুহুল আমিন বলেন, আমার দোকানের কিছু অংশ খালের ওপর পড়েছে। সরকার চাইলে সে জায়গা ছেড়ে দেব।

বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাকসুদ মিজান বলেন, অবৈধ দখলদারদের বারবার সতর্ক করা হয়েছে। উচ্ছেদের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।

কথা হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমজাদ হোসেন বলেন, খালের ওপর দোকান নির্মাণের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শান্তনু চৌধুরী বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শিগগির উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

রামগতি বাজার উন্নয়ন কমিটির সদস্য গরীব হোসেন রাসেল জানান, নজরদারি না থাকায় ১৫০টি দোকানের মালিক নিজেদের ইচ্ছামতো সীমানা বাড়িয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন

×