বসত ঘরে মিলল ২২ গোখরা সাপের বাচ্চা

ছবি: সমকাল
ফরিদপুর অফিস ও মধুখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩ | ১১:০৯ | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৩ | ১১:১০
বসত ঘরের ভেরতই ডিম পেড়েছিল বিষধর গোখরা সাপ। ডিম ফুঁটে বাচ্চা বের হয়ে বসত ঘরের মধ্যে খেলা করতে গিয়েই নজরে আসে বাড়ির সদস্যদের। তারা একে একে ১৫টি বাচ্চা মেরে ফেলে। আর সাপুড়িয়ার সহযোগিতায় জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭টি গোখরার বাচ্চা।
ঘটনাটি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গাড়াখোলা এলাকার মো. হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে। বুধবার সকালে ১১টার দিকে স্থানীয় সাপুড়িয়ার সহযোগিতায় গোখরা সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে বড় সাপগুলোকে ধরতে না পাড়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসান বিশ্বাসের বড় ছেলে সাগর বিশ্বাস বলেন, গত দুইদিন ধরে বাড়ির শোয়ার ঘরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। এভাবে একে একে প্রায় ১৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা বাড়ির লোকজন মেরে ফেলে। পরে সাপুড়িয়াদের খবর দিলে সকালে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও ৭টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। তবে বড় সাপ ধরতে পারেনি।
কামারখালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের সাপুড়িয়া রিয়াজ মিয়া বলেন, একটি গোখরা সাপ ৪২ অথবা ৩২ অথবা ২২টি করে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা হয়। খবর পেয়ে হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে ৭টি তাজা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। বাড়ির লোকজন আরও প্রায় ১৫টি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেছে। বড় সাপ দুটি ধরা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার মিটাইন, কামারখালী, বাগাট এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে মোট ৯৬টি বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। এগুলো আমি বাড়িতে রেখে খাবার খাওয়াই। বড় হলে এদের দিয়ে খেলা দেখাই।
স্থানীয় চার নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আনিসুর রহমান লিটন বলেন, খবর পেয়ে হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখি খুব ভয়ংকর ব্যাপার। বাড়ির লোকজন আগে থেকে টের পেয়ে সাপুড়িয়াদের খবর দেয়। তারা এসে বিষধর গোখরো সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাপ ধরা দেখতে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।
মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেছে সাপুড়িয়ারা।
- বিষয় :
- সাপের বাচ্চা
- গোখরা সাপ
- ফরিদপুর