ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কমলনগর কৃষি বিভাগ

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ শীর্ষ ৪ পদ শূন্য

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ শীর্ষ ৪ পদ শূন্য

বেলাল হোসেন জুয়েল, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ০৩:০৭ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ০৩:০৭

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ শীর্ষ চার পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। শূন্য রয়েছে আরও ১১টি পদও। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ এলাকার কৃষকরা। দ্রুত জনবল সংকট নিরসন করে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কৃষি-সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ২০ হাজার ৩২৫ হেক্টর। এখানে তালিকাভুক্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এ অঞ্চলে দেশের সবচেয়ে বেশি সয়াবিন উৎপাদন হওয়ায় এ অঞ্চলকে ‘সয়াবিনের রাজধানী’ বলা হয়। আউশ-আমনসহ শাকসবজি উৎপাদনেও পিছিয়ে নেই এলাকাটি। এসব দেখভালে উপজেলা কৃষি বিভাগে কর্মকর্তা ও কর্মচারী অনুমোদিত পদ রয়েছে ৪৩টি। এসব পদের মধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার দুটি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাতটি, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, মোকাদ্দামের দুটি ও স্প্রে মেকানিকের একটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।

সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক রামগতি উপজেলায় বদলি হলে পদটি শূন্য হয়। এর পর থেকে তিনি এ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। গেল জুন মাসে পিরোজপুরের কাউখালীতে বদলি হয়ে চলে যান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইকতারুল ইসলাম। অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার আরেকটি পদসহ অন্য পদগুলো আগে থেকেই শূন্য।

কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি বিভাগ কৃষক কার্ড থেকে শুরু করে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু চরম জনবল সংকটের কারণে তারা কৃষকদের পুরোপুরি সেবা দিতে পারছেন না। পদগুলো শূন্য থাকায় এখানে মাঠ কার্যক্রমসহ অন্যান্য কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের পশ্চিম চরফলকন এলাকার কৃষক মো. রইজল জানান, তাঁর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদটিতে কেউ নেই। সঠিক সময়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া না যাওয়ায় সেবা পেতে বিলম্ব হয়।

উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, ওই ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার তিনটি পদ রয়েছে। দুটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ফলে তিনজনের কাজ তাঁকে একাই করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, তিনজনের কাজ একজন দিয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব। এতে কৃষকরা যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়াই স্বাভাবিক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া আসলেই কষ্টকর। শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য অধিদপ্তরকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পদটিতে সহসাই পদায়ন হবে। অন্য পদগুলোতেও পর্যায়ক্রমে জনবল নিয়োগের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন

×