ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

হাসপাতালের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল বানরটি

হাসপাতালের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল বানরটি

আহত হয়ে হাসপাতালে বানর। ছবি: সমকাল

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২২:৪৪ | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩:২১

বেশ কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ড বন থেকে একটি বানর লোকালয়ে চলে আসে। গত দু’দিন ধরে বানরটি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এসে বসে থাকে। শনিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ অফিস থেকে বের হওয়ার সময় দেখতে পান বানরটির বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ক্ষত স্থানে ড্রেসিং করে দিলে বানরটি চলে যায়। পরে ডা. নুর উদ্দিন বিষয়টি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানান। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরদিন রোববার তিনি আবার দেখেন বানরটি একই জায়গায় বসে আছে। পরে তিনি সহকর্মীদের নিয়ে বানরটির ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করে দেন।

এদিকে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পশুচিকিৎসকরা এগিয়ে না আসায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা তাকিয়ে আছেন বন বিভাগের দিকে। অন্যদিকে বন বিভাগ বলছে, যেহেতু বানর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে আছে, মানুষের কাছেই ধরা দিচ্ছে। পশুচিকিৎসকরা গিয়ে বানরটির চিকিৎসা দিতে পারেন। কিন্তু তারা তা করেননি। অথচ হাসপাতালের কাছেই প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের কার্যালয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, বানরটির শরীরের পেছনের অংশের ক্ষতে পচন ধরছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল বানরটি। হয়তো বিদ্যুতের শক লেগেছে।শনিবার বিকেলে হাসপাতালের বারান্দায় ছিল। রোববার বিকেলেও হাসপাতালের একইস্থানে দেখা যায়। শনিবার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বানরটি ধীরে ধীরে হাসপাতালের পাশের বাগানে চলে যায়।


তিনি বলেন, শনিবার বানরটিকে প্রথমে দেখে বিষয়টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পশুচিকিৎসকদের জানাই। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা প্রাণীটিকে ধরে দিতে বন বিভাগকে জানাতে বলেন। পরে বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা কামাল উদ্দিনকে বিষয়টি জানানো হয়। রোববার বিকেলে বানরটি আসার পর আবার আমি প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পশুচিকিৎসক ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু তারা না আসায় আমি নিজেই বানরের চিকিৎসা করি।

উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জ কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, একটা অসুস্থ প্রাণী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। মানুষের কাছে প্রাণীটি সেবা চাইছে। যে কেউ প্রাণীটিকে ধরতে পারছে। অথচ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা ১০০ মিটার পথ গিয়ে প্রাণীটির সেবা দিতে পারছেন না।

সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাহমিনা আরজু বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিষয়টি জানানোর পর বানরটিকে ধরে দেওয়ার জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তাদের তিনি অনুরোধ করেন। কিন্তু বন বিভাগের কর্মকর্তারা বানরটিকে ধরে দেননি। বন কর্মকর্তারা ধরে দিলে তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন

×