ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
৩১ জনের জন্য ১ কেজি মুরগি

ফুলগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০২:২৯ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০২:২৯
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের জন্য খাবার বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ জন রোগীর দু’বেলার খাবার অর্থাৎ ৬২ আহারের জন্য দৈনিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক কেজি ৩০০ গ্রাম মুরগি।
উপজেলা ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিরা। অর্থাভাবে অন্য কোথাও গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেন না তারা। চিকিৎসার মান মোটামুটি হলেও হাসপাতালে রোগীদের দু’বেলা খাবারের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজন।
প্রতিদিন দুপুর ও রাতে দুই বেলা ভাত দেওয়া হয় রোগীদের। দুই বেলাই খাবারে মাংস দেওয়ার কথা। সে জন্য প্রতিদিন মুরগি বরাদ্দ দেওয়া হয় এক কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের, যা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রোগীদের মাঝে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সেখানে খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে রয়েছেন মেসার্স আলম ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী, শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানে আলম। এই হাসপাতালে প্রতিদিন প্রত্যেক রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্দ রয়েছে সরকারিভাবে। সকালের নাশতা ৩৫ টাকা, দুপুরের খাবার ৭০ টাকা এবং রাতের খাবার ৭০ টাকা। তবে সব মিলিয়ে বর্তমানে একজন রোগীর জন্য ঠিকাদার গড়ে ৬০ টাকাও খরচ করছেন না বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী মো. কালাম জানান, ৪ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। খাবারের মান খুবই নিম্ন। মাংস কখনও দেওয়া হয় না। শুধু আলু এবং একটু পাতলা ডাল দেওয়া হয়। যারা খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে, তারা রোগীদের হক মেরে খাচ্ছে।
ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি আব্দুল হাই জানান, প্রতিদিন ৩১ জন রোগীর দুই বেলা খাবার মানে ৬২ আহারের জন্য এক কেজি ৩০০ গ্রাম মুরগি দেওয়া হয়। জবাইয়ের পর কোটা-বাছা শেষে এই মুরগিকে ৬২ পিস করে রোগীদের দিতে হয়। মুরগি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ঠিকাদার এবং হাসপাতালের আরএমওকে বলার পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুবায়েত বিন করিম জানান, হাসপাতালে খাবার পরিবেশনের অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার বলার পরও পরিবর্তন নেই। এসব কারণে রোগীদের কষ্ট হচ্ছে।
ঠিকাদার জানে আলম জানান, এবারই প্রথম তিনি অভিযোগের কথা জেনেছেন। যখন যে সংখ্যক রোগী থাকে, সে অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।