রাজীবপুর সীমান্তে ২ যুবক গ্রেপ্তার
অভিযোগ তথ্য পাচারের, মামলা অনুপ্রবেশচেষ্টার

বিজিবি সদস্য- ফাইল ছবি
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:২৪ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:১০
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর সীমান্ত থেকে শাকিল মিয়া ও রুপম মিয়া নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। সোমবার দুপুরে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী ব্যাপারীপাড়া সীমান্ত থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতে তথ্য পাচারের অভিযোগে প্রথমে আটক করা হলেও পরে তাদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশচেষ্টার মামলা করা হয়। সোমবার রাতে দু’জনের বিরুদ্ধে রাজীবপুর থানায় এ মামলা করেন বিজিবির বালিয়ামারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মহিউদ্দিন। শাকিল শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ডাবেলাকোনা গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে ও রুপম একই উপজেলার মেঘাদল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে বালিয়ামারী-কলাইয়েরচর সীমান্তহাট চলছিল। এ সময় হাটের গেটের সামনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলছিলেন শাকিল ও রুপম। সন্দেহ হলে এক পর্যায়ে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। পরে তথ্য পাচারের অভিযোগে শাকিল ও রুপমকে আটক করা হয়। এ সময় শাকিলের মোবাইল ফোন যাচাই করে বিজিবি তথ্য পাচারের সত্যতা পায়। পরে তাদের আটক করে নেওয়া হয় বালিয়ামারী বিজিবি ক্যাম্পে।
সূত্র জানায়, শাকিল দুই বছর ধরে বিএসএফের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ওই সম্পর্কের খাতিরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিনি বিভিন্ন তথ্য ও ভিডিও পাচার করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বালিয়ামারী সীমান্তহাট এলাকার তথ্য ও ভিডিও পাচারকালে তাঁকে আটক করা হয়।
মামলায় সুবেদার মহিউদ্দিন উল্লেখ করেন, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ব্যাপারীপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে শাকিল ও রুপমকে আটক করে বিজিবি। অনুপ্রবেশচেষ্টার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। দেখাতে পারেনি পাসপোর্ট কিংবা বৈধ কাগজপত্র। পরে তাদের তল্লাশি করে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
তথ্য পাচারের অভিযোগে আটক করা হলেও কেন অনুপ্রবেশচেষ্টার মামলা হলো এ বিষয়ে সুবেদার মহিউদ্দিন বলেন, ‘তথ্য পাচারকালে তাদের আটকের কথাটি মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের মোবাইল ট্রেক করে তথ্য পাচারের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং বিশ্লেষণ করে জানা যায়, তারা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল।’ তবে সোমবার দুই যুবককে আটকের পর মহিউদ্দিন তথ্য পাচারের প্রমাণ পেয়েছেন বলে এক বক্তব্যে উল্লেখ করেন। সে বক্তব্যের অডিও কল রেকর্ড সমকালের হাতে রয়েছে।
বিষয়টি জানতে জামালপুর ৩৫ বিজিবির অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মাশরুকীর ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। রাজীবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, বিজিবির মামলার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুই আসামিকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।