ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আল্টিমেটাম শেষেও হল ছাড়েনি চবির অছাত্র ও বহিষ্কৃতরা

আল্টিমেটাম শেষেও হল ছাড়েনি চবির অছাত্র ও বহিষ্কৃতরা

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:১৮ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:১৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অছাত্র ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃতদের সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এই সময়সীমা (আল্টিমেটাম) শেষ হলেও বিভিন্ন আবাসিক হলে অছাত্র ও বহিষ্কৃতরা অবস্থান করছে।

এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে বলায় আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষকে অপদস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন এ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেন।

জানা গেছে, গত ৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসিক হলে বৈধভাবে সিট বরাদ্দ দিতে পারছে না। কয়েক দফা চেষ্টা করেও হলে নতুন করে বরাদ্দের কাজ এগিয়ে নিতে পারেনি প্রশাসন। শাহ জালাল হলে প্রায় ৭০ জন অছাত্র অবস্থান করছেন। হলগুলোতে মোট ২০০ জন অছাত্র ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আছে।

এ বছর দ্বিতীয় দফায় অছাত্র ও বহিষ্কৃতদের হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্রত্ব শেষ হওয়া ও বহিষ্কারাদেশের আওতায় থাকা শিক্ষার্থীদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে রোববার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও ছাত্রদের ৭টি হলে অবস্থান করছে অছাত্র ও বহিষ্কৃতরা।

অছাত্র ও বহিষ্কৃতদের হলত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গিয়ে সোমবার অপদস্থ হয়েছেন আলাওল হলে প্রাধ্যক্ষ ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আমি এক বহিষ্কৃত ছাত্রের কক্ষ সিলগালা করতে যাই। তখন ওই ছাত্র প্রায় ২০ জনকে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। আমাকে ও হাউজ টিউটরদের গালমন্দ করতে থাকে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে হাউজ টিউটররা হল থেকে চলে যান।’ 

তবে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে খারাপ আচরণের মতো কিছু করিনি। আমি সেদিন হল থেকে কিছু কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলাম। তখন শুনি আমাকে নাকি হল থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো ছাত্রকে হল থেকে অবাঞ্চিত করার এখতিয়ার কী প্রাধ্যক্ষের আছে?’

এ বিষয়ে চবি প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, প্রাধ্যক্ষরা সোমবার থেকে অছাত্র ও বহিষ্কৃতদের বের করার প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছেন। ছাত্রীদের হলে অবৈধভাবে কেউ নেই। অন্যান্য হলে যেসব অছাত্ররা অবস্থান করছে, তারা বেশিরভাগই গা ঢাকা দিয়েছে। সবার তালিকা তৈরি হচ্ছে। 

আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষকে অপদস্থ করার বিষয়ে তিনি বলেন, শহিদুল নামে বহিষ্কৃত এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় প্রাধ্যক্ষকে অপদস্থ করেছে কয়েকজন। বিষয়টি জানামাত্র সেখানে গিয়েছিলাম। তবে কাউকে না পাওয়ায় ফিরে আসি।

এদিকে প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক সাংবাদিক হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন তারা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) ও চিটাগাং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিইউজেএন) আয়োজিত মানবন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। 

আরও পড়ুন

×