ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে আ.লীগের বর্ধিত সভা

ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:৫৪ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:২৯
ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের রাসেল স্কয়ারে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন, আমরা সবাই খুশি। কি হবে, কে উপকৃত হবে এসব আমরা চিন্তা করি না। কারণ আমরা তাঁকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি। তিনিও আমাদের এলাকার লোকজনকে অনেক ভালোবাসেন, তার মন উদার। তাঁর কাছে আমরা কিছু চাইব না, যদি কিছু দেওয়ার থাকে তিনি দেবেন। তিনি যা দেবেন আমরা তাই খুশি হয়ে গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক, কিন্তু বিরোধী দল মনে করে ভোটের রাজনীতিতে তারা অনেক পিছিয়ে আছে। সেই কারণে তারা ষড়যন্ত্রকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ধরনা দিলে বোধহয় তারা ক্ষমতায় যাবে। তারা বোঝে না আমাদের সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা বদলের একটাই মাত্র পথ, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান ও ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু।
আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ অনেক কিছু পেয়েছে, কাউকে চাইতে হয় নাই। সুতরাং ফরিদপুরে কি করতে হবে, এটি আমাদের চেয়ে তাঁর মাথায় অনেক বেশি আছে। তিনি সেভাবেই বাস্তবায়ন করবেন। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে হবে। সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। এরপর ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশন এলাকায় প্রেস ব্রিফিং করবেন। পরে ভাঙ্গায় ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি। এদিন ট্রেনে চড়ে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন। এরপর ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ভাঙ্গা রেলস্টেশন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।