ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

দখল ৪০ শতক ভূমি উদ্ধার, নির্মিত হবে পার্ক

দখল ৪০ শতক ভূমি উদ্ধার, নির্মিত হবে পার্ক

গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি উদ্ধার কার্যক্রম। ছবি-সমকাল

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:২২ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:১৩

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ভূমি দখলমুক্ত করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুর রহমান ও দেবব্রত দাস এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবসহ তাঁর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উদ্ধার হওয়া জমির পরিমাণ ৪০ শতাংশ এবং এর দাম প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ জায়গায় নির্মিত হবে পার্ক।

জেলা প্রশাসক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নোয়াখালী গণপূর্ত অধিদপ্তরের নামে মাইজদী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের নোয়াখালী সুপারমার্কেটের পশ্চিম পাশে ৪০ শতক ভূমি রয়েছে। নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স সমবায় সমিতি লিমেটেডের সভাপতি একরাম উল্যাহ ডিপটি সিন্ডিকেট সুপারমার্কেটসংলগ্ন সরকারি ওই জায়গা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের নামে দখল করেন গত মাসের শুরুতে। পরে কাঠের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এর আগে সোনাপুর-বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অর্ধশতাধিক দোকান ও অটোরিকশা চালক সমিতি কার্যালয় স্থাপন করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হলে, তখন উচ্ছেদ করা হয়। 

গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক মিয়া জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অবৈধ মার্কেট নির্মাণের খবর পেয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। জেলা প্রশাসক তাঁর কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। প্রশাসনের লোক চলে যাওয়ার পর প্রশাসনের নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আরও দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ চালায় দখলদার বাহিনী।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অর্ধশত পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

নোয়াখালী সুপারমার্কেট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ক্ষুদ্র হকার্স সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি একরাম উল্যাহ ডিপটি বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য কাঠের দ্বিতল মার্কেট নির্মাণে প্রশাসনের অনুমতি ছিল না। তবে প্রশাসনকে জানিয়ে ১০ মাসের জন্য একটি অস্থায়ী মার্কেট তৈরি করা হচ্ছিল, এটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

নোয়াখালী গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব বলেন, ওখানে গণপূর্তের ৬৫ শতক ভূমি রয়েছে। ওই ভূমিতে একটি সরকারি পার্ক নির্মাণ করার জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে। এটি পার্কের জন্য নির্ধারিত জায়গা। 

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের জায়গা কারও নামে বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই। পর্যায়ক্রমে জেলা শহরের সব অবৈধ দখল হওয়া সরকারি জায়গা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।


আরও পড়ুন

×