খুলনা-৬ আসন
আ.লীগে মনোনয়নপ্রত্যাশী ১১ জন

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ | ০৫:০৪ | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ | ০৭:১৯
কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ সংসদীয় আসনে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য ১১ প্রার্থী। এর মধ্যে ৯ জনই নবীন।
এবার বিরোধীদলীয় কোনো প্রার্থী প্রচারে না থাকায় ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার আশায় মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে দলের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, বর্তমান সংসদ সদস্যের প্রতি অনেকেই ক্ষুব্ধ। তাঁকে হটাতেই একাধিক প্রার্থী সরব।
কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য দলীয় নেতাকর্মীর আস্থা হারিয়েছেন। তার প্রতি এলাকার নেতাকর্মীর ক্ষোভ রয়েছে। তাকে হটাতে এবার জোটবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন সবাই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের আশায় মাঠে রয়েছেন সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোহরাব আলী সানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী প্রেম কুমার, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম, বিএমএ নেতা অধ্যাপক ডা. শেখ শহীদ উল্লাহ, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসীন রেজা, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির নেতা সাইফুল্লাহ আল মামুন।
সম্ভব্য প্রার্থীদের বেশির ভাগই স্থানীয় বাসিন্দা। প্রত্যেকেই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে এলাকায় যাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি, তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ আসনে অন্য দলের প্রার্থীদের তেমন সাড়াশব্দ না নেই। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের আনাগোনায় এলাকায় নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়ে প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন নেতারা। পাশপাশি গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, কর্মী সমাবেশসহ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরছেন। একই দলে এত বেশি প্রার্থীর মনোনয়নের জন্য জোর তৎপরতা চালাতে দেখা যায়নি আগে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
কথা হলে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বলেন, মনোনয়ন পেলেই বিনা পরিশ্রমে এমপি হওয়ার সম্ভাবনা। এ কারণে এবার অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। মনোনয়নের আশায় ব্যাপক লবিংও চলছে।
খুলনা সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিগত দুটি সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা সহজেই জয়লাভ করেছেন; যা দলের নেতাদের আগ্রহী করে তুলেছে। এ কারণে প্রতিটি আসনেই এবার মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি।
- বিষয় :
- কয়রা
- পাইকগাছা
- সংসদীয় আসন
- আওয়ামী লীগ