ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে অস্ত্রোপচার, আর জ্ঞান ফেরেনি মরিয়মের

বিচার চেয়ে ছেলের সংবাদ সম্মেলন

অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে অস্ত্রোপচার, আর জ্ঞান ফেরেনি মরিয়মের

বিচার চেয়ে মরিয়মের ছেলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সমকাল

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪ | ২১:৩৮

জয়পুরহাটে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মরিয়ম বেগম (৭৫) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ওই নারীর ছেলে জাকির হোসেন। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার নওপাড়া গ্রামে।

লিখিত অভিযোগে জাকির জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শৌচাগারে পড়ে গিয়ে তাঁর মায়ের বাঁ পা ভেঙে যায়। তারা ৩ মার্চ জয়পুরহাট শহরের আমতলী এলাকায় গ্র্যাজুয়েট জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেন। সন্ধ্যায় মরিয়মের অস্ত্রোপচার করেন ডা. নজরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন দেওয়ান মো. আমিনুল ইসলাম। অস্ত্রোপচারের দু’দিন পর রোগীর জ্ঞান না ফিরলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করার অনুরোধ জানান জাকিরসহ অন্য স্বজনরা। কিন্তু স্থানান্তর না করে ডা. আমিনুর কালক্ষেপণ করেন। অনেক অনুরোধের পর ৫ মার্চ দিবাগত রাত ২টার দিকে হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। ওই অবস্থায় মরিয়মকে ছাড়পত্র দিলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সকাল ৭টায় হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই তাঁর মৃত্যু হয়।

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, ডা. আমিনুল ইসলাম সময়মতো উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে অথবা জ্ঞান ফিরতে দেরি হওয়ার কারণ জানালে হয়তো আমাদের মাকে হারাতে হতো না। অস্ত্রোপচারের পর ডা. নজরুল নিয়মিত রোগীর খোঁজখবর নেননি। অথচ অস্ত্রোপচার বাবদ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি। আমরা আইসিইউ সুবিধার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু তারা জানিয়েছিলেন, পায়ের অপারেশনে আইসিইউ প্রয়োজন হবে না। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মায়ের মৃত্যুর পর ৭ মার্চ জয়পুরহাট সদর থানায় এবং জেলা সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

আরও পড়ুন

×