ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে স্যালাইনের নমুনা
রাজশাহীতে অস্ত্রোপচারে শিশু জন্মের সময় দুই মায়ের মৃত্যু

রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল ছবি
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২২:০২
রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে শিশু জন্মের সময় দুই মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অস্ত্রোপচারের সময় তাদের যে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল, তাতে সমস্যা থাকায় কিডনি বিকলসহ শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়। পরে তাদের মৃত্যু হয়। এরই মধ্যে পরীক্ষার জন্য এসব স্যালাইনের নমুনা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মৃত দুই নারী হলেন দুর্গাপুরের দাউকান্দি এলাকার আনুলিয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের স্ত্রী আসমা খাতুন (৩৮) ও নওগাঁর নিয়ামতপুর এলাকার রেজাউল হকের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩৫)। রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সানাউল হক মিয়া বলেন, অস্ত্রোপচারের চার-পাঁচ ঘণ্টা পর কিডনি বিকল হয়ে দুই রোগী মারা যান। এটি কেন হলো, তা জানার চেষ্টা চলছে। পরীক্ষার জন্য স্যালাইনের নমুনা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্যালাইনের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সার্জারির চিকিৎসক ডা. আবু বকর সিদ্দিককে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবির বলেন, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’জন মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তারা একটি তদন্ত কমিটি করেছে। প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছে, স্যালাইন দেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দুই নারী মারা গেছেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে স্যালাইন পরীক্ষার ফল এলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি জানান, সারাদেশে এ ধরনের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সেসব এলাকা থেকেও স্যালাইন পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, স্যালাইন দেওয়ার পর তিনজন রোগীর সমস্যা হয়। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ লটের স্যালাইন আর ব্যবহার হচ্ছে না।
গত ১৯ মার্চ রাতে হাসপাতালে মারা যান আসমা খাতুন। তাঁকে অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সুলতানা নাজনীন রিতা। অপারেশনের সময় তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ১৬ মার্চ শারমিন আক্তারের অস্ত্রোপচার করা হয়। দু’জনেরই কিডনি বিকল হয়ে যায়। একই দিনে আরাবি (১৯) নামে আরেক নারীকে অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনিও স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হন। তাঁকে সিজার না করে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে তিনি সেরে ওঠেন।
- বিষয় :
- রাজশাহী
- প্রসূতির মৃত্যু