লিজ দেওয়া পাটকলগুলো আশানুরূপ উৎপাদনে যেতে পারেনি: খুলনায় পাট মন্ত্রী

ছবি: সমকাল
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪ | ১৭:১১ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ | ১৭:৪২
লিজ দেওয়া পাটকলগুলো আশানুরূপ উৎপাদনে যেতে পারেনি বলে আক্ষেপ করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, লিজের শর্ত ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণ পাটজাত পণ্য উৎপাদনসহ মিলের পুরাতন দক্ষ কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তা না হওয়ার কারণে এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে মন্ত্রণালয়। এছাড়া বন্ধ পাটকল এলাকার জমিতে অর্থনৈতিক জোন করা যায় কিনা সে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে পাট এবং পাটজাত পণ্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুলনার ৪টি পাটকল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি প্রথমে ফরচুন গ্রুপের লিজ নেওয়া দৌলতপুর জুট মিল পরিদর্শন করেন। এরপর প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট ও খালিশপুর জুট মিল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এ অঞ্চলের পাটকলগুলো বন্ধ হলেও প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার সব কিছু করা হবে। মন্ত্রী পরে বন্ধ থাকা খুলনা টেক্সটাইল মিল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল জিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে মন্ত্রী নগরীর হোটেল সিটি ইন-এ বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলেন, যে কোনো মূল্যেই আমরা পাটের গৌরবময় সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার মেট্রিক টন পাটবীজ প্রয়োজন। দেশে ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়, বাকি সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। ব্যাপকভাবে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফ্রাষ্কফুর্টে পাঠালেন। আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০টি স্টল, ভারতের ২১টি স্টল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি করেও বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। পাট চাষী, পাট ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।
বিজেএ’র চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন।