সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবি, চুয়েটে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন

ছবি: সমকাল
চুয়েট সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪ | ১৮:০৩
সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে পৃথকভাবে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষক সমিতি ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার দুপুর ১২টায় চুয়েট উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ মানববন্ধন করেন চুয়েট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। এসময় প্রায় তিন শতাধিক কর্মচারী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতা মুক্ত রাখার পাশাপাশি পদোন্নতি সুবিধা বৃদ্ধি এবং আগামী বাজেটে নবম পে স্কেল চালুর দাবি জানান।
ওই কর্মসূচিতে চুয়েট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, আমরা খুব শিগগিরই এই বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম থেকে মুক্তি চাই। আমাদের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে আমরা চুয়েটের বাস, হলের ডাইনিং, বিদ্যুৎ, পানি সব বন্ধ করে দেব। তবুও এই বৈষম্য আমরা মেনে নেবো না।
দুপুর সাড়ে ১২টায় একই স্থানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মৌন মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করে চুয়েট শিক্ষক সমিতি। এতে চুয়েটের শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবে। চুয়েটে শিক্ষকরা পদোন্নতি পায় নতুন একটি নিয়োগের মাধ্যমে। ফলে দেখা যাবে পদোন্নতি পাওয়ার পর বর্তমান শিক্ষকরাও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পড়বেন। তাই, অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে হবে।
- বিষয় :
- সার্বজনীন পেনশন স্কিম
- চুয়েট