আম নিয়ে তর্কে ৬ বছর বয়সী শিশুকে হত্যা

নিহত শিশু তরী বাড়ৈ
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪ | ২০:৫৮
বাড়ি থেকে পানি আনতে মঙ্গলবার সকালে পাশের মসজিদ লাগোয়া টিউবওয়েলে গিয়েছিল ছোট্ট তরী বাড়ৈ। পরে আর ফেরেনি সে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছয় বছরের শিশুটির লাশ পাওয়া যায় সেদিন বিকেলে। পাশের একটি কৃষিজমির ঝোঁপে পুঁতে রাখা হয়েছিল তাকে।
তরী বাড়ৈ ঢাকার নবাবগঞ্জের শোল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ শোল্লা চন্দ্রপাড়া গ্রামের সুমন বাড়ৈ ও বকুল বাড়ৈ দম্পতির একমাত্র মেয়ে। স্থানীয় দুর্গামন্দিরে স্থাপিত মন্দিরভিত্তিক গণশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রেণিতে পড়ত সে। তাকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ একই এলাকার ১২ বছর বয়সী এক শিশু ও তার মাকে আটক করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তরীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মসজিদ লাগোয়া টিউবওয়েল থেকে পানি আনার সময় একটি আম নিয়ে ১২ বছর বয়সী ছেলেটির সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় তরীর। এক পর্যায়ে ওই শিশুটি ক্ষেপে গিয়ে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তরীর মাথাসহ শরীরের নানা স্থানে আঘাত করতে থাকে। এ সময় মারা যায় মেয়েটি। পরে মায়ের সহায়তায় ওই শিশু তরীর মরদেহ কৃষিজমির ঝোপে চাপা দিয়ে রাখে।
বিকেলে তরীর মা ও স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে লাশ খুঁজে পায়। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা দেবাশীষ চন্দের দাবি, তরীর মতো আর কোনো শিশুর যাতে এভাবে প্রাণ না যায়। তিনি হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল বুধবার বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১২ বছর বয়সী শিশু ও তার মাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
- বিষয় :
- হত্যা
- নবাবগঞ্জ
- শিশু হত্যা