ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আটক কর্মী ছাড়াতে রাতভর থানা ঘেরাও

আটক কর্মী ছাড়াতে রাতভর থানা ঘেরাও

কর্মী-সমর্থক নিয়ে কলাপাড়া থানার ওসির প্রত্যাহার দাবিতে সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভীন সীমার নেতৃত্বে সোমবার ঝাড়ুমিছিল বের করে জনতা সমকাল

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪ | ২৩:২৪

মিথ্যা মামলায় কর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার সামনে রাতভর অবস্থান নিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত (নারী) ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভীন সীমা। রোববার রাত সোয়া ১টা থেকে তিনি নেতাকর্মী নিয়ে থানার প্রবেশমুখে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দেখাও করেননি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ। গতকাল সোমবার সকালে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাঁর প্রত্যাহার দাবি করে বের হওয়া ঝাড়ুমিছিলেও নেতৃত্ব দেন ওই ভাইস চেয়ারম্যান।

মিছিল শেষে কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান ওসির কারণে কলাপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পুলিশ নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে, অথচ হত্যা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর রোববার বিকেলে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারে যান শাহীনা পারভীন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহমান তালুকদার দ্রুত কার্যালয় বন্ধ করে চলে যান। কিছুক্ষণ পর শাহীনা পারভীন ঘুরে এসে দেখেন, কার্যালয়ের ভেতর আবদুর রহমান বসে আছেন। এ সময় তাঁর কাছে কার্যালয় বন্ধ করার কারণ জানতে চান কয়েকজন কর্মী। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় মামলা করেন আবদুর রহমান তালুকদার। পুলিশ এ মামলায় শাহীনা পারভীন সীমার কর্মী নজরুল খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে। 

শাহীনা পারভীন সীমা বলেন, তারা থানায় গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলেও ওসি দেখা করেননি। তিনি কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি নিরীহ কর্মীর মুক্তির জন্য রাতভর থানার সামনে অবস্থান করছেন। তাঁর ভাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন বলেন, সারারাত থানার সামনে রাস্তায় অবস্থান করেছেন। অথচ থানার ভেতরেও ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। 

ওসির এমন ব্যবহারে বিক্ষুব্ধ মানুষ সকালে ঝাড়ুমিছিল করেছে। অবিলম্বে ওসির প্রত্যাহার দাবি করেন তিনি।
নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়ার অভিযোগ, কলাপাড়া থানার ওসি কাউকেই সম্মান করেন না। নির্ধারিত পুলিশ সদস্যকে দিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। অবিলম্বে তাঁকে কলাপাড়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ দাবি করেন, ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভীন সীমার নেতৃত্বে এজাহারভুক্ত আসামিকে তুলে নিতে থানা ঘেরাও করা হয়েছিল। পুলিশ ধৈর্য ধরে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদারের ভাষ্য, অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটেছে। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন

×