রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচতে চরভদ্রাসনের কৃষকরা পেলেন গামবুট 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে পাঁচশত গামবুট ও ছাতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ চত্বরে চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে গামবুট ও ছাতা বিতরণ করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানদের মাঝে স্প্রে-মেশিন ও ঘাস মারার ওষুধ বিতরণ করা হয়।

একই দিন চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নতুন বাসভবনের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন ও নতুন অফিস কক্ষ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

চরভদ্রাসনে পদ্মা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে ২০১৬ সালে দেখা মিলে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ। সম্প্রতি চরাঞ্চলসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন গ্রামে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়। গত কয়েক সপ্তাহে উপজেলায় মানুষের হাতে মারা পড়েছে রাসেলস ভাইপারসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ। এছাড়া গত কয়েক বছরে এই উপজেলায় সাপের কামড়ে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। 

উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভায় কৃষকদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, রাসেলস ভাইপার নিয়ে আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। মানুষ রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে নানা প্রজাতির সাপ মেরে ফেলছে। সাপ খুব উপকারী প্রাণী। এরা ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে থাকে। তিনি কৃষকদের সচেতনভাবে মাঠে কাজ করার আহবান জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনাজ পারভীন বিথীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার আলী মোল্লা। অন্যদের  মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. কাউছার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সবুর কাজল, থানার ওসি আব্দুল ওহাব প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।