যশোরে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালক মহসীনের পাঁচতলা বাড়ি জব্দ

বরখাস্ত গাড়িচালক মহসীনের পাঁচতলা বাড়ি। ছবি-সমকাল
যশোর অফিস
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪ | ০১:২২
দুর্নীতির মামলায় আদালতের নির্দেশে যশোর শহরে রাজাবরদাকান্ত রোডের রেলগেট এলাকার জমিসহ পাঁচতলা আলিশান বাড়ি ‘রাশিদা মহল’ জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। বাড়ির সামনে জেলা প্রশাসনের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাগজে-কলমে আলোচিত বাড়িটির মালিক ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরখাস্তকৃত গাড়িচালক মহসিন আলীর শাশুড়ি ফিরোজা বেগম। বাড়ির সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
বাড়ির মালিক ফিরোজা বেগম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গালদা গ্রামের মৃত রফিক উল্লাহর স্ত্রী। তাঁর জামাতা পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরখাস্তকৃত গাড়িকচালক মহসিন আলী। তারা দু’জনই দুদকের মামলার আসামি।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় আদালতের নির্দেশে জমিসহ রাশিদা মহল বাড়িটি ক্রোক করা হয়েছে। আদালতের আদেশে ওই ভবনের রিসিভার হিসেবে জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক প্রতি ছয় মাস পরপর ওই ভবনের আয়-ব্যয়ের হিসাব আদালতে দাখিল করবেন। ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করে শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন তার মেয়ে জামাই মহসীন আলী। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর ফিরোজা বেগম ও মহসীন আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফা জাহান। ওই মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর স্পেশাল জজ আদালত ঢাকার এক আদেশে ফিরোজা বেগমের নামে ক্রয়কৃত যশোর পৌরসভার রাজা বরদাকান্ত রোডে অবস্থিত ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ জমিসহ বাড়িটি ক্রোক করে জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন। গত ৩ জুলাই জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ সংক্রান্ত একটি সাইনবোর্ড ওই ভবনের সামনে টানিয়ে দিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ক্রোক সম্পত্তি কোনোভাবে বা কোনো প্রকারে অন্যত্র হস্তান্তর, উক্ত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোন প্রকার লেনদেন বা উক্ত সম্পত্তিকে কোনভাবে দায়মুক্ত করা আইনত নিষিদ্ধ।
শনিবার পাঁচতলা আলিশান বাড়ি ‘রাশিদা মহলে’ গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে কয়েকজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। জানতে চাইলে তারা বলেন, এই ভবনে নিতলতা থেকে তৃতীয়তলা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া আছে। এখানে খেলাধুলার পুরস্কার (ক্রেস্ট, ট্রফি) তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানেই তারা কাজ করেন। তারা ভবনের মালিককে চেনেন না।
- বিষয় :
- জব্দ
- বাড়ি জব্দ
- পাসপোর্ট অধিদফতর