সিরাজগঞ্জে ১৮০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত
কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তার

ফাইল ছবি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ২৩:৩০
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমছে ধীরগতিতে। এখনও জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ১৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি রয়েছে। এ অবস্থায় জেলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অফিস বা কর্মস্থল ত্যাগে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ প্রশিক্ষণের অজুহাতে ময়মনসিংহে আছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজ পাঠালেও সাড়া মেলেনি তাঁর। কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্যার প্রশিক্ষণে ময়মনসিংহ আছেন।’
জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা মনিটরিং কমিটির সভাপতি মীর মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যায় শিক্ষা কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও এক কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ছেড়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আফছার আলী জানান, জেলা সদর, চৌহালি, কাজীপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় আপাতত পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সোমবার সকাল ৬টায় সদরের মূল কেন্দ্রে গত ১২ ঘণ্টায় যমুনার পানি সমতলে মাত্র ১ সেন্টিমিটার কমেছে। এখনও বিপৎসীমার (১২ দশমিক ৯০ মিটার) ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। কাজীপুর পয়েন্টে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার (১৪ দশমিক ৮০ মিটার) ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনও জেলার কাজীপুর, সদর, চৌহালি, শাহজাদপুর, বেলকুচি ও উল্লাপাড়া উপজেলায় ১৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি রয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৯০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০০ টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১ হাজার ২০০ টন চাল ও ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যথাসময়ে সেগুলো বিতরণ করা হবে।
- বিষয় :
- অনিয়মের অভিযোগ
- শিক্ষা কর্মকর্তা
- বন্যা
- সিরাজগঞ্জ