পাউবোর স্থাপনা ভেঙে জমি দখলের পাঁয়তারা

লোগো
উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪ | ০৩:৩৪
বরিশালের উজিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি পরিত্যক্ত পাকা স্থাপনা ভেঙে জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসক। এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সরেজমিন এর সত্যতাও মিলেছে।
নগেন হালদার নামে ওই পল্লি চিকিৎসকের দাবি, চার শতাংশ জমির মধ্যে দুই শতাংশ তাঁর। বাকিটি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায়ের। যদিও এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুরের হারতা ইউনিয়নের হারতা মৌজায় ১৯৮৬ সালে প্রায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করে পাউবো। দেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসব জমি নেওয়া হয়। ১৯৮৮ সালে হারতা বাজারের উত্তর পাশে মাটি ভরাট করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর স্লুইসগেট স্থাপন করা হয়। পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্লুইসগেটের পাশেই খালাসির থাকার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মিত হয়। ওই ভবনসহ আশপাশের চার শতাংশ জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন নগেন হালদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভবনটিতে কেউ থাকেন না। ফলে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সম্প্রতি পল্লি চিকিৎসক নগেন হালদার ভবনটি ভাঙার জন্য ১০ হাজার টাকায় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তারা পাউবোকে একাধিকবার অভিযোগ দেন। তবু কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেননি। এরই মধ্যে ভবনটির একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
নগেন হালদারের দাবি, ‘যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে ২ শতাংশ জমি আমার। পাশের ২ শতাংশ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায়ের।’ কাগজপত্র দেখানোর কথা বললে তিনি এড়িয়ে যান। ভাঙার বিষয়েও কথা বলতে চাননি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় বলেন, ‘আমি অসুস্থ। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’ হারতা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান অমল মল্লিক বলেন, স্লুইসগেটের কাছে খালাসির জন্য একটি পাকা ভবন আছে। কিন্তু এটি ভেঙেছে বলে জানা নেই তাঁর।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ দুয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানোর আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, যত বড় ক্ষমতাশালীই হোন না কেন, পাউবোর জমি ও ভবন দখলের এখতিয়ার কারও নেই। কেউ প্রভাব খাটিয়ে এমন কিছুর চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- পাউবো