পাইকগাছায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৩ গ্রাম, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে বিকল্প বেড়িবাঁধ তৈরির চেষ্টা করছেন মানুষ। ছবি: সমকাল
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪ | ১৯:৪৯
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে শুক্রবার আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারের সময় কালীনগর গ্রামে প্রায় ৩০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরপর বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিকল্প বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়। কিন্তু পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগেই জোয়ার শুরু হওয়ায় আবারও গ্রামে পানি ঢুকেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, পূর্ণিমার কারণে উপকূলীয় এলাকার নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেড়েছে। সে কারণে দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেগুলোও দ্রুত মেরামত কাজ শুরু করা হচ্ছে। আগামী ২-৩ দিন জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকবে।
দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কালীনগর, দারুল মল্লিক, হরিণখোলা, সৈয়দখালি, সেনেরবেড়, গোপীপাগলা, খেজুরতলা, তেলিখালী, হাটবাড়ী, ফুলবাড়ী, বিগরদানা, দুর্গাপুর ও নোয়াই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামগুলোর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গ্রামবাসী বিকল্প বেড়িবাঁধ তৈরির কাজ করছিল, কিন্তু শেষ হওয়ার আগে দুপুরের জোয়ারে আবারও পানি ঢুকেছে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনিন জানান, যে স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গেছে ওই জায়গা ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।