ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মধুখালীতে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মধুখালীতে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ফরিদপুরের মধুখালীর গাজনা এলাকার কুমড়া ক্ষেত। ছবি- সমকাল

ফরিদপুর অফিস

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ০৮:১৯

অতিবৃষ্টিতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় কুমড়া, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পেঁপে, ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা চার দিনের বৃষ্টিতে এই ক্ষতি হয়। আর এর প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে; সব শাকসবজির দাম বেড়েছে।

নওপাড়া ইউনিয়নের কুড়ানিয়ারচর গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন জানান, তিনি ধারদেনা করে এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে মরিচ ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। বৃষ্টিতে গোড়া পচে মরিচ গাছ মারা গেছে। মরিচের সাথি ফসল হিসেবে ২০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। সেই গাছও বৃষ্টিতে মারা যাচ্ছে। গাছে ১০০ থেকে ১২০টি কুমড়া ছিল। সেগুলো তুলতে গিয়ে দেখেন, সব পচে গেছে। 

শুধু আকরাম নন, সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে মধুখালী পৌর এলাকাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অনেক কৃষকের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হচ্ছে।

রায়পুর ইউনিয়নের আব্দুর রহমান বলেন, ৩৫ শতাংশ জমির আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে আছে। চারা পচে গেলে আবার লাগানো লাগবে। এতে খরচ বাড়বে।
পৌর সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, বৈকণ্ঠপুর মাঠের জমিতে লাগানো কুমড়া অতিবৃষ্টিতে প্রায় অর্ধেক পচে গেছে। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অতিবৃষ্টিতে মধুখালীতে ২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফুলকপি ১ হেক্টর, বাঁধাকপি ০.৫, মিষ্টি কুমড়া ৬, শসা ১, করলা ০.৫, পেঁপে ১, কলা ১ ও ১ হেক্টর অন্যান্য সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। 

এদিকে গত মঙ্গলবার মধুখালী পৌর সদরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব ইলাহী বলেন, মেগচামী ও গাজনা ইউনিয়নের আগাম শীতকালীন সবজির বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে কমবেশি সবজি নষ্ট হওয়ায় বাজারে দামের প্রভাব পড়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করে আমরা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি।

আরও পড়ুন

×