কঠোর নিরাপত্তায় ‘মাঙ্কিপক্সে’ মারা যাওয়া প্রবাসীর দাফন

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘মাঙ্কিপক্সে’ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রবাসী কামাল হোসেনের (৩৮) মরদেহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নিজ গ্রামে আনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বহনকারী গাড়ি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। পরে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিরল রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন কামাল হোসেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ। দাফনের সময় উপজেলা প্রশাসন, বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত কামাল হোসেনের বাবা নজির আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহ নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে ভোরের দিকে বাড়ি পৌঁছান। পরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টায় গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেষতলায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয় মুন্সিরহাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, কামাল হোসেনের স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ বছর আগে জীবিকার তাগিতে তিনি আরব আমিরাতে যান। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। পরে মরদেহ একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, ‘মাঙ্কিপক্স’ একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ, যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ দেশে আনার অনেক আগেই মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। মারা যাওয়া কামাল হোসেনের পরিবারের ৮  সদস্যকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তার উজ জামান বলেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রবাসীর মরদেহ প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে।