চরফ্যাসনে পানিতে পড়ে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯:২৬
ভোলার চরফ্যাসনে পৃথক স্থানে পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, রসুলপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ও আমিনাবাদ ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল উদ্দিনের মেয়ে তাসপিয়া (২), রসুলপুর ইউনিয়নের শহিদ আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) এবং আমানিবাদ ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের মৃত মতলব মিয়ার ছেলে সিদ্দিক (৭০)। তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, শিশু তাসপিয়ার মা একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। বাবা-মা দু’জনই ঢাকাতে থাকেন। মা চাকরি করার সুবাদে শিশু পুত্রকে বাবার বাড়িতে মায়ের কাছে রেখে যান। দুপুরে শিশুর নানী খাদিজা বেগম ঘরের রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। শিশু তাসপিয়া উঠানে খেলাধুলা করছিলেন। খেলার ছলে বসত ঘরের পাশের পুকুরে পড়ে যান। শিশুর নানী তাকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে পুকুরে ভাসমান মরদেহ দেখে চিৎকার দিলে পরিবারের অপর সদস্যরা তাকে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। নিহত তাসপিয়া ওই গ্রামের মো. নয়ন-সুমা দম্পতির একমাত্র সন্তান।
অন্যদিকে রসুলপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ আলীর আড়াই বছর বয়সী শিশু পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক পুকুর পাড়ে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পুকুরে পড়ে যায়। বিষয়টি স্বজনরা দেখে তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। নিহত শিশু তাসপিয়া ওই গ্রামের শহীদ আলীর ছেলে।
এছাড়াও আমিনাবাদ ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের বৃদ্ধ মো. সিদ্দিক একজন মৃগী রোগী ছিলেন। সকালে ফজরের নামাজের ওজু করতে গিয়ে পানিতে পড়ে যান। এ সময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল ও চরফ্যাসন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহগুলো দাফন করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
- বিষয় :
- পানিতে ডুবে মৃত্যু
- চরফ্যাসন
- ভোলা