ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

অপহৃত সেই নারী চিকিৎসক পাবনা থেকে উদ্ধার

অপহৃত সেই নারী চিকিৎসক পাবনা থেকে উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:৫৩ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:০৮

রাজশাহীতে বাসা থেকে অপহৃত নারী চিকিৎসক শাকিরা তাসনিম দোলাকে (২৬) উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আজ মঙ্গলবার দিনগত রাতে পাবনা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

র‌্যাব ৫-অধিনায়ক মেজর মাসুদ জানান, ঢাকা ও রাজশাহীর র‌্যাবের সদস্যরা পাবনায় যৌথ অভিযান চালান। তারা অপহৃত চিকিৎসক শাকিরা তাসনিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। একই সঙ্গে আসামি তানজিম খান তাজ নিরবকে আটক করা হয়েছে। তাদের রাজশাহীতে আনা হবে। এখনো অভিযান শেষ হয়নি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে, সোমবার ভোরে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা এলাকার বাসা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। 

পারিবারিক সূত্র জানায়, তানজিম নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চার বছর ধরে শাকিরার সঙ্গে প্রেম করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি শাকিরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে শাকিরার পরিবার জানতে পারে, তানজিম ওরফে নিরব ম্যাজিস্ট্রেট নন। তার প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় শাকিরার পরিবার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকিরাকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন তানজিম খান। 

সোমবার ভোরে অপহরণের শিকার হন ওই নারী চিকিৎসক। রাতে তার বাবা নগরীর চদ্রিমা থানায় মামলা এ ব্যাপারে করেন। মামলার এজাহারে তিনি বিস্তারিত উল্লেখ করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তানজিম খান তাজ ওরফে নিরবকে।

শাকিরার পরিবার জানায়, সোমবার ভোরে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা এলাকার বাসা থেকে শাকিরাকে অপহরণ করেন তানজিমসহ কয়েকজন। এসময় তার বাবা আবু তাহের মো. খুরশীদকেও (৬০) অপহরণ করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা এলাকায় ফেলে যায় অভিযুক্তরা। আর শাকিরার মা রেহেনা পারভীনকে দেয়ালে মাথা ঠুকে আহত করে তারা। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তানজিম খানের বর্তমান ঠিকানা পদ্মা আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর রোডে। তিন-চার বছর আগে তিনি শাকিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তখন তিনি নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন। সম্প্রতি বিয়ের প্রস্তাব দিলে মামলার বাদী তাতে রাজি হননি। তখন থেকেই তানজিম তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। সোমবার সকালে বাদী আবু তাহের ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। রাস্তায় উঠলে পেছন থেকে আসামিরা মারধর করে মুখ স্কচটেপ দিয়ে তাকে কালো রঙের গাড়িতে  (ঢাকা মেট্টো-চ-১৫-৫০৫২) তোলেন। পরে তার পকেটে থাকা বাসার চাবি নিয়ে বাসার ভেতরে ঢোকেন। ঘরে ঢুকে তানজিম তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে রেহানা পারভীনের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। পরে তার মেয়েকে গাড়িতে তুলে নেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদী আবু তাহেরকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে তার মেয়েকে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। তিনি বাড়ি ফিরে রাতে থানায় মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহরণের শিকার নারী চিকিৎসককে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

রাজশাহী নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘অপহরণকারী তানজিম নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চিকিৎসক শাকিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে যখন তার পরিবার জানতে পারে, তিনি ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট তখন তারা বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে অপহরণ করা হয়।

আরও পড়ুন

×