ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে উঠল ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে উঠল ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ লেখা প্রদর্শিত করা হয়। ছবি: সমকাল

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯:৪৯

দপ্তরি শেখ মাসুম হোসেন বাতি জ্বালানোর উদ্দেশ্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেন। কিছুক্ষণ পর এক পথচারী দেখেন, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ লেখা প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখাটি ভাইরাল হয়ে যায়। উৎসুক জনতা জড়ো হয় বিদ্যালয় চত্বরে। 

বুধবার সন্ধ্যায় জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনা তদন্তে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার (আইটি) মাহমুদুর রহমান।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ডিসপ্লে আইডি পাসওয়ার্ড হ্যাক করে কেউ এ ধরনের কাজ করতে পারে।

২০১৬ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষাসহ শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে লেখা প্রদর্শিত হয়ে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় বোর্ডটিতে ওই লেখা ভেসে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শাহপুর ক্যাম্পে জানান। 

প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান বলেন, স্কুলের ডিজিটাল সাইনবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে থাকে না। বিষয়টি কীভাবে হয়েছে, আমার জানা নেই। তবে ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ডিসপ্লে বোর্ডের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। 

আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমরা সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছি। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখার পাশাপাশি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, তদন্ত শেষে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে বলা যাবে। তার আগে নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন জানান, দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


 

আরও পড়ুন

×