ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

টেকনাফ স্থলবন্দরে ‘অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে শ্রমিক ধর্মঘট, পণ্য খালাস বন্ধ

টেকনাফ স্থলবন্দরে ‘অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে শ্রমিক ধর্মঘট, পণ্য খালাস বন্ধ

ছবি: সমকাল

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫:৫৬

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ‘অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগ এনে শ্রমিকরা ধর্মঘটে ডেকে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন। রোববার সকাল থেকে শ্রমিকরা নায্য দাবি চেয়ে ‘১৬ বছর নিরীহ শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাত’ ব্যানারে মাধ্যমে বন্দরের গেটে এ ধর্মঘট পালন করেন। তবে মিয়ানমারের পণ্য রপ্তানির কার্যক্রম চালু রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী সমকালকে বলেন, ‘শ্রমিকদের একটি অংশ পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে। তবে মিয়ানমারের রপ্তানি পণ্য কার্যক্রম চলছে। কি কারণে ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’

জানা গেছে, সকাল থেকে বাণিজ্য ঘাটে আমদানিকৃত মালামাল পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এ ঘাটে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরীর দাবীতে বন্দরের গেটে মাথায় লাল কাপড় বেধে মানববন্ধন করেছে। এতে পণ্যবাহী বোট ঘাটে নৌঙরে পরে আছে।  

স্থলবন্দরের শ্রমিক আবুল মনসুর বলেন, ‘আমরা সারাদিন কাজ করে ন্যায্য মজুরি পাচ্ছি না। তাই আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। মূলত মাঝিরা প্রতি ট্রাকের পেছনে ৭ হাজার টাকা করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করলেও, আমাদের পাচঁ হাজার টাকা করে মজুরি দিচ্ছে। তাছাড়া সরাসরি বোট থেকে পণ্য গুদামে খালাস করলে মজুরি দিচ্ছে না। যা আমরা আগে থেকে আদায় করতাম।’

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের শ্রমিক নেতা মো. আজগর মাঝিকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তকে আরেক মাঝি মো. করিম বলেন, ‘শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মজুরি না বাড়ালে মাঝিরা কীভাবে শোধ করবেন।’

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে। মূলত এটি মাঝি এবং শ্রমিকদের সমস্যা আমাদের না।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শ্রমিকরা স্থলবন্দরে কর্মবিরতির খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

×