খুলনায় জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন এখনও বন্ধ, পেট্রোল পাম্পে কমেছে তেলের মজুত

মঙ্গলবার সকালে খুলনার একটি পেট্রোল পাম্প থেকে তোলা ছবি: সমকাল
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৮:৩৮
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। খুলনা নগরীর কাশিপুর এলাকার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও ১৬ জেলায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেলের মজুত কমে গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নগরীর ফেরিঘাট মোড়ের মেসার্স কেসিসি পেট্রোলিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, অকটেন শেষ হয়ে গেছে। পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী ধীমান জানান, সকালে অকটেন শেষ হয়ে গেছে। অল্প কিছু পরিমাণ ডিজেল ও পেট্রোল রয়েছে। যা দুপুরের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে।
একই এলাকার মেঘনা মডেল সার্ভিস সেন্টার নামে আরেকটি পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীরা জানান, যতক্ষণ তেল আছে ততক্ষণ বিক্রি করব। তবে দুপুরের মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার না হলে জ্বালানি তেল শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রায় একই রকম চিত্র নগরীর অন্যান্য পেট্রোল পাম্পগুলোতেও।
ট্যাংকলরি শ্রমিকরা জানান, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা আলী আজিমকে গত রোববার দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খালিশপুরে বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলা রয়েছে। গত সোমবার আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শ্রমিকরা জানান, ওই মামলায় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ৯ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আলী আজিমকে মুক্তি এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি চলবে।