যুবকের মরদেহ উদ্ধারের পর স্ত্রী আটক

প্রতীকী ছবি
হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮:৪৯
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রানা মন্ডল নামে এক যুবকের ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার শড়াতলা গ্রামে নিজ ঘর থেকে গলাই গামছা পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। রানা ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রানার স্ত্রী শম্পা খাতুনকে আটক করেছে।
রানার স্বজনদের দাবি, বনিবনা না হওয়ায় রানাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে শম্পা খাতুন। পরে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে।
সদর মন্ডল নামে এক প্রতিবেশি জানান, রানা এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। গ্রামে একটি চায়ের দোকান ছিল তার। এছাড়া সে কৃষিকাজও করতো। স্ত্রীর সঙ্গে তার বেশকিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো।
রানার মা পারভিনা খাতুনের ভাষ্য, কয়েকদিন ধরে পুত্রবধূর সঙ্গে ছেলের মনোমালিন্য চলছিল। তার ছেলে বাড়িতে খাওয়া দাওয়াও করত না। ঘটনার দিন দুপুরের আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। পরে ছেলে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় তার স্ত্রী বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুঁলিয়ে রাখে। একই ভাষ্য রানার বাবা মাঈনুদ্দিন মন্ডলের।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই যুবকের স্ত্রী শম্পা খাতুন দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। পরে খবর পেয়ে অন্যদের সঙ্গে ঘরে গিয়ে স্বামীকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, খবর পেয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই যুবকের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
- বিষয় :
- ঝিনাইদহ
- হরিণাকুণ্ডু
- মরদেহ উদ্ধার