ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

আগস্টে শহীদ সুজয়ের লাশ তুলতে পরিবারের বাধা

আগস্টে শহীদ সুজয়ের লাশ তুলতে পরিবারের বাধা

নিহত শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২:৫৯

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের (১৯) মরদেহ আদালতের নির্দেশে উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার এতে বাধা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কবরস্থানে উপস্থিত হলে সুজয়ের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু মুছা ও ঢাকা জেলার সিআইডি ইন্সপেক্টর মাছুম।

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজয়ের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। তার লাশ দেখতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই সরকারের কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাইছি।

এ সময় সুজয়ের মামা মাজেদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেমন মরদেহ উত্তোলন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। সুজয়ের হত্যার বিচারও সেভাবে করা সম্ভব।

ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার একটি ভাড়া বাসায় তানজিল মাহমুদ সুজয় তাঁর বাবা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতোই গত ৫ আগস্ট খুব সকালেই যোগ দেন ছাত্র আন্দোলনে। দুপুরের পর শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয় উৎসব পালন করা হয়। উল্লসিত জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে বাইপালে শহীদ হন সুজয়সহ ১১ জন। পুলিশ লাশগুলো ভ্যানের ওপর স্তূপ করে পুড়িয়ে দেয়। সুজয়ের আংশিক পুড়ে যাওয়া মরদেহ ৭ আগস্ট নিজ বাড়ি নবীনগরের বিটঘর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ২২ আগস্ট তাঁর মামা মাজেদুল হক আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু মুছা বলেন, আদালতের নির্দেশে শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের লোকজন অসম্মতি জানান। তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে লিখিত নিয়ে আমরা চলে আসি।
 

আরও পড়ুন

×