ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

টিসিবির কার্ড বিতরণ নিয়ে সন্দেহ, ঘেরাও-অবরোধ

টিসিবির কার্ড বিতরণ নিয়ে সন্দেহ, ঘেরাও-অবরোধ

যশোরের মনিরামপুরে টিসিবি কার্ড না পেয়ে ভূক্তভোগীরা সোমবার পৌরসভা ভবন ঘেরাও করেন। সেখানে ইউএনও প্রত্যাহারের দাবি ওঠে সমকাল

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫ | ০০:৪২

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে যশোরের মনিরামপুরে সড়ক অবরোধ ও ঘেরাও করেছে হাজারো জনতা। গতকাল সোমবার দুপুরে পৌর ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ হয়। এ সময় বক্তারা অনিয়মের জন্য পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা ইউএনও নিশাত তামান্নাকে দায়ী করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। পরবর্তী সময়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় সোমবার কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারেনি টিসিবি। এ নিয়ে সুবিধাভোগীদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দেয়। 
পৌরসভা সূত্র জানায়, মনিরামপুর পৌর এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য তিনজন ডিলারকে ২ হাজার ৭৭২টি কার্ড বরাদ্দ করা হয়। সোমবার সকাল থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতি কার্ডের বিপরীতে ৫৪০ টাকার বিনিময়ে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি চিনি, দুই লিটার তেল ও দুই কেজি ডাল বিক্রির কথা ছিল। ভোর থেকেই নির্ধারিত জায়গাগুলোতে পণ্য নেওয়ার জন্য বাড়তি মানুষের ভিড় হয়। যে কারণে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা পণ্যসামগ্রী বিক্রি বন্ধ করে দেন। এ সময় মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।  
পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মফিজুর রহমানসহ কয়েকজন জানিয়েছেন, ইতোপূর্বে এখানে কার্ড বরাদ্দ হয়েছিল ৩ হাজার ৩০০টি। এবার বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮২২টি কার্ড। এ কারণে কার্ড না পাওয়া মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। হাজারো নারী-পুরুষ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভা ভবন ঘেরাও করেন। পরে তারা যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা এ ঘটনার জন্য দোষারোপ করেন পৌর প্রশাসক ও ইউএনও নিশাত তামান্নাকে। তাঁর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিক্ষোভে।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান ইউএনওকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন। সেখানে আরও বক্তব্য দেন পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আব্বাস উদ্দিনসহ অন্যরা। সড়ক অবরোধের কারণে দু’পাশে যানজট 
দেখা দেয়। পরে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম, থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 
ইউএনও নিশাত তামান্না এ বিষয়ে বলেন, ২ হাজার ৬৭৬টি টিসিবির কার্ড পাওয়া গেছে। এটি বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮২২ জনের মধ্যে। অবশিষ্ট কার্ড বিতরণ না করায় ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শিগগিরই যাচাই-বাছাই শেষে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন তিনি। 

আরও পড়ুন

×