ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাছ লুটের অভিযোগ

কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাছ লুটের অভিযোগ

লুট করা মাছ। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫ | ২২:১০ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ | ২২:৫৯

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুবদল নেতা মো. ওহিদ ও জুয়েলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এলাকায় মাছ লুটপাটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওহিদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং জুয়েল রামপুর ইউনিয়নের যুবদল নেতা।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইকবাল গ্রুপ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে জড়াচ্ছে নানা অনিয়মে। সম্প্রতি ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বামনী খাল ইজারা দেওয়া, বামনী বাজারের ইজারাদারের থেকে চাঁদা দাবি ও রামপুর ভূমি অফিসের মালিকানাধীন ৫ নং ওয়ার্ডের মক্কা নগরীতে মাছ লুটপাটের অভিযোগ উঠে এই গ্রুপের বিরুদ্ধে। গত ১২ মার্চ রাতে ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে মক্কা নগরী থেকে মাছ উত্তোলন করা হয়। পরের দিন সকালে বামনী বাজারের মাছের আড়তে ১৮ হাজার ৫৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়, যার মেমো সমকাল প্রতিনিধির হাতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু কাউছার মামুন সমকালকে বলেন, মাছ লুটপাটের ঘটনায় আমাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপন জানালে আমি ওই দিন রাতেই মক্কা নগরী প্রজেক্টে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ইকবাল হোসেন ও মো. ওহিদের নেতৃত্বে মাছ ধরছে। মাছ ধরে বামনী বাজারের দিকে নিয়ে যায়।

এদিকে এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলালের বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১৪ মার্চ রাতেই ইকবালসহ অন্যদের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠক বসে। সে বৈঠকে ইকবাল, মো. ওহিদ ও জুয়েলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত জুয়েল সম্পর্কে বেলায়েত হোসেনের শ্যালক।

অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন বেলাল ও ইকবাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ওহিদ বলেন, আমি মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত নই। আমি শুধু ইকবালের সঙ্গে ওই দিন রাতে ওইখানে ছিলাম। এর ১০ মিনিট পর আমি সেখান থেকে চলে এসেছি। 

বিভিন্ন অনিয়মের কথা রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, খাল ইজারা দিয়েছে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহ। তিনি ইজারাকৃত ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা কোথায় রেখেছেন, তিনিই জানেন। একটি মহল আমাকে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্ল্যাহর ফোনে বার বার কল করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খোঁজ নিয়ে যানা যায়- তিনি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

আরও পড়ুন

×