ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

পরিচয়হীন শিশুটিকে পাঠানো হলো ঢাকায়, দত্তক নেয়নি কেউ

পরিচয়হীন শিশুটিকে পাঠানো হলো ঢাকায়, দত্তক নেয়নি কেউ

হাসপাতালের শয্যায় পরিচয়হীন শিশুটি

বরিশাল ব্যুরো 

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫ | ১৬:৪০ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ | ১৬:৪৩

বরিশাল নগরের কীর্তণখোলার তীরে স্বজনদের ফেলে যাওয়া নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয় শিশুটিকে। হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউর মুনীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুটিকে কেউ দত্তক নিতে রাজি হচ্ছে না।অজ্ঞাত পরিচয়ের শিশুটিকে শনিবার উদ্ধারের পর বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ প্রচেষ্টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তত্ত্বাবধানের জন্য রাকিবুল হাসান ও অ্যাপোলি মৈত্রী নামের দুজন সমাজকর্মী শিশুটির সঙ্গে গেছেন। 

এদিকে কীর্তণখোলার তীরে অজ্ঞাত পরিচয়ের শিশু উদ্ধারের খবর সমকালে প্রকাশের পর অনেকে শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক সমকালকে বলেন, দত্তক নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করেছিল। কিন্ত শিশুটির শারীরিক অবস্থা জানার পর তারা আর আগ্রহ দেখাননি। 

শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিচালক বলেন, শিশুটির পিঠে মেরদণ্ডের টিস্যু থেকে টিউমারের উৎপত্তি হয়েছে। এটি পুরোপুরি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। চিকিৎসার ওপর ভরসা রেখে শিশুটিকে যতদিন কিছুটা সুস্থ রাখা যায়। 

প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ১২টার দিকে নগরীর সংলগ্ন কীর্তণখোলার তীরে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় পরিত্যক্ত বাথরুমে নবজাতকটিকে উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ফুচকা বিক্রেতা পারভীন বেগম শিশুটিকে উদ্ধার করেন। ধারণা করা হচ্ছে, শারীরিক অবস্থার কারণে স্বজনরা শিশুটিকে ফেলে রেখে যান। 

শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের দায়িত্বরত সমাজসেবা কর্মকর্তা দিলরুবা রিচি বলেন, চিকিৎসায় শিশুটি সুস্থ হলে সমাজসেবার বেবী হোমে হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন

×