ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

সালিশ চলাকালে শিশুকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

সালিশ চলাকালে শিশুকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯:৫৪ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ২১:২৯

নেত্রকোনার মদনে ১২ বছরের এক শিশু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় মাতবররা। সেখান থেকে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত কিশোর মাহিন মিয়াসহ কয়েকজন। কাইটাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েটির বাবা কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যান। পোশাক কারখানায় চাকরি করেন মা। শিশুটি গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ দাদির কাছে থাকে। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় স্থানীয় কিশোর মাহিন মিয়ার। মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে তার খালা জানতে চাইলে মাহিনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলে। বিষয়টি নিয়ে মাহিনের বাবার সঙ্গে কথা বললে তারা মেয়েটির সঙ্গে মাহিনের বিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে সালিশে বসেন গ্রামের মাতবররা। এ সময় মেয়েটিকে  তুলে নিয়ে যায় মাহিনসহ কয়েকজন। খোঁজাখুঁজি করে এখনও তার সন্ধান মেলেনি। 

শিশুটির দাদির ভাষ্য, তার নাতনি দুই থেকে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি মাহিনের পরিবারকে জানালে তারা বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। পরে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সালিশ-বৈঠকে বসলে হঠাৎ মাহিনসহ কয়েকজন ঘর থেকে তার নাতনিকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘এখন বুঝতে পারলাম আমার নাতনিকে মাহিন বিয়ে করবে না। আমরা গরীব মানুষ। থানায় কিভাবে অভিযোগ করবো বুঝতে পারছি না।’

অভিযুক্ত কিশোরের বাবা আরজু মিয়া জানান, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু দু’জনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজি করছেন তারা।

সালিশে উপস্থিত ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন রুবেল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসে ছিলাম। পরে শুনেছি মেয়েটিকে মাহিন তুলে নিয়ে গেছে। বৈঠকে ছেলের পরিবার খুবই খারাপ আচরণ করেছে।’

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসানের ভাষ্য, এ ঘটনা জানতে পেরে রোববার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পবিবারকে বলা হয়েছে থানায় অভিযোগ করতে। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন

×