অভিযানেও বন্ধ হয়নি বাড়তি হাসিল আদায়

নিয়মনীতি মানছেন না ইজারাদার
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫ | ২৩:৫৪
উল্লাপাড়ায় পশুর হাটে ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল (কর) আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করছে। তারা চলে গেলে ফের শুরু হয় অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের কর্মযজ্ঞ। তবে রসিদ দেওয়া হচ্ছে না ক্রেতাকে।
প্রশাসন অনুমোদিত হাটবাজারের হাসিল আদায়ের তালিকা অনুযায়ী, একটি গরুর জন্য ৪০০ ও একটি ছাগলের জন্য ৬০ টাকা আদায় করা যাবে। হাটবাজার ইজারাদার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন হাটে ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি গরু থেকে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকাও আদায় করা হচ্ছে। ছাগল থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।
কাশিনাথপুর গ্রামের আবদুল আজিজ রোববার জনতার হাটে যান ষাঁড় কিনতে। তাঁর কাছ থেকে ৬০০ টাকা হাসিল নেওয়া হয়েছে। অথচ গরুপ্রতি হাসিল বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৪০০ টাকা। ইজারাদার অতিরিক্ত টাকা নিলেও রসিদে তা লেখেননি।
গাজীপুর উপজেলার তেলকুপি গ্রাম থেকে বোয়ালিয়া হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন আলাউদ্দিন। তিনি একটি ষাঁড় গরু কিনে হাসিল দিয়েছেন ৮০০ টাকা। পাটধারী গ্রামের তানভীর আলমের কাছ থেকে হাসিল নেওয়া হয়েছে এক হাজার টাকা।
গত শনিবার জনতা হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ইজারাদার রুহুল আমিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। গত রোববার বোয়ালিয়া হাটের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বুদ্দুকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিষয়ে জনতা হাটের ইজারাদার রুহুল আমিন বলেন, অনেক টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়েছেন। গরু বাঁধার স্থান নির্ধারণ, বাঁশের খুঁটি দিয়ে আঁড় তৈরিসহ হাট প্রস্তুত করতেও বেশ টাকা খরচ হয়েছে। তার ওপর বৃষ্টির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি কম হয়। এ কারণে একটু বেশি হাসিল আদায় করেছিলাম।
বোয়ালিয়া হাটের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বুদ্দু জানান, হাট ব্যবস্থাপনায় খরচ বেড়েছে। তাই কিছু বাড়তি খাজনা নিয়েছিলেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশের পর সরকার নির্ধারিত মূল্যে হাসিল আদায় করছেন।
ইউএনও আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, হাটে নজরদারি করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে অভিযান চালিয়ে ইজারাদারদের জরিমানা করা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত অভিযান চলবে।
- বিষয় :
- ইজারা