বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতাকর্মী আবার চাঁদাবাজিতে

লোগো
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫ | ২২:৫৬
চাঁদাবাজির অভিযোগে আগেই বহিষ্কার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের দুই নেতা। এবার তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে এক সাধারণ শিক্ষার্থীর পথরোধ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতারা হলেন–বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব ও কর্মী হাসিবুল ইসলাম হাসিব। এর আগে ছাত্রলীগ নেতার কাছে চাঁদাবাজিসংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় সংগঠন থেকে তাদের অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
লিখিত অভিযোগে জসিম উদ্দিন বলেন, গত মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুরা বুধপাড়া জিয়া স্কুল রোড এলাকায় হাঁটছিলেন তিনি। এ সময় বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আহসান হাবীব, হাসিব, বিশালসহ ১০-১২ জনের মোটরসাইকেল বহর পথরোধ করে। তাঁকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে বিগত সময়ের ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের ছবি দেখিয়ে রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একপর্যায়ে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জানাই, হলে থাকার জন্য কিছু বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশ নিই, কিন্তু কখনও কোনো ছাত্র নির্যাতন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ছিলাম– এই প্রমাণও দিই। তবুও তারা আমাকে মারধর করেন। পরে দেড় হাজার টাকা দিয়ে কোনোমতে ছাড়া পাই।’ তাঁর অভিযোগ, তারা হুমকি দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তাঁর।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আহসান হাবিব। তাঁর ভাষ্য, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জসিম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিবের ক্যাডার। শাহ মখদুম হলসহ পুরো ক্যাম্পাসে তিনি চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। বিশেষ কারও মদদে ছাত্রদলকে হেয় করার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যাচার করছেন জসিম। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
- বিষয় :
- চাঁদাবাজি
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়