ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শ্রমিক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করুন: ডা. জাফরুল্লাহ

শ্রমিক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করুন: ডা. জাফরুল্লাহ

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো ও বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১ | ১০:২৭

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ওই দিন ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ছাড়া পুলিশ শ্রমিকের ওপর গুলি করেছে। এটা পুলিশ স্বীকার করেছে। পুলিশের সঙ্গে একটি সিন্ডিকেটের বাহিনীও শ্রমিকদের ওপর গুলি করেছে। তাদের নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। ওই বাহিনীকে খুঁজে বের করতে হবে।

রোববার চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে সাত শ্রমিক নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ও খাদ্য সহায়তা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তার সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দলের আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বিকেল ৩টায় বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় যান এবং প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী মো. ফারুক ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবিরের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেল ৪টায় পুলিশের গুলিতে নিহত বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনার মাওলানা আবু ছিদ্দিকীর ছেলে মাহমুদ রেজার বাড়িতে যান। সেখানে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষ থেকে ২০০ হতদরিদ্র পরিবারকে এক মাসের ত্রাণ দেওয়া হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া নিশ্চিত করতে হবে পরিবারের সদস্যদের চাকরি। বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কিছুই নয়। সরকার পুলিশের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই পুলিশ প্রকৃত ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলতে পারছে না। সরকার ১৬ বছরে যে উন্নয়ন করেছে, তা গণ্ডামারায় ভেসে উঠেছে। এত বড় প্রকল্প- অথচ গণ্ডামারায় রাস্তাঘাটের বেহালদশা।

প্রকল্প এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাকে ঢুকতে বাধা দেয়নি। আমি শান্তি চাই, সংঘাত নয়। যেভাবেই হোক উন্নয়ন হলেই হলো। তবে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় বিচার হওয়া জরুরি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।

গত ১৭ এপ্রিল সকালে গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ শ্রমিক নিহত হন। ২০ এপ্রিল রাতে পার্কভিউ হাসপাতালে একজন ও ২১ এপ্রিল চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দুটি মামলাও হয়েছে।

আরও পড়ুন

×