জুয়ার টাকা ছিনিয়ে নিতে রুবেলকে হত্যা: পিবিআই

গ্রেপ্তার মো. কামরুল ইসলাম
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:৩৫ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:৩৫
জুয়া খেলার টাকা ছিনিয়ে নিতে কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের শহরটোক গ্রামের রুবেল মিয়াকে (৩২) হত্যা করেছিল ময়মনসিংহের পাগলা থানার এক দল যুবক। এ মামলার প্রধান আসামি মো. কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে প্রায় দুই বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে।
জানা যায়, শহরটোক গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে রুবেল স্থানীয় টোক নয়ন বাজারে বিভিন্ন খাবার তৈরি ও বিক্রি করতো। ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল বিকেলে মো. রিপন, বিমল বর্মন, নাছির উদ্দিন, মো. আরিফ, আরিফ মিয়া ও দিলিপ ঘোষকে নিয়ে রুবেল টোক নয়ন বাজারস্থ বানার নদীর ঘাট থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে গিয়ে জুয়া খেলছিল। এ সময় মো. কামরুল ইসলাম তার সঙ্গী খোকন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, সাইদুল ও মো. হেভেন পাগলা থানার বারইহাটি বাজারে অবস্থান করছিল। বানার নদীতে জুয়া খেলার বিষয়টি জানতে পেরে তারা অপর একটি ইঞ্জিনচালিত যাত্রীবাহী নৌকা নিয়ে আক্রমণ চালায়।
এ সময় সঙ্গীরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে নদীর তীরে চলে যায়। রুবেল নৌকায় ছিল। তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিতে গেলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কামরুল ও তার সঙ্গীরা লাঠি দিয়ে রুবেলের মাথায় ও শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় তারা রুবেলকে নদীতে ফেলে দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়। ঘটনার দুই দিন পর বানার নদীতে রুবেলের অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। ওই দিনই রুবেলের বাবা মফিজউদ্দিন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় ছয় মাস পর এ মামলাটি পিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আসামি কামরুলকে তার বারইহাটি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ বিষয়ে গাজীপুরের পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গ্রেপ্তার আসামি তার সহযোগীদের নিয়ে জুয়ার বোর্ডের টাকা ছিনিয়ে নিতে রুবেলকে লাঠি-সোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে হত্যা করে এবং মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বানার নদীতে ফেলে দেয়। কামরুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি অপর আসামিদের নাম উল্লেখ করে রোববার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।