ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

গৃহহীনদের ঘর উপহার দেওয়া সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন: প্রধানমন্ত্রী

গৃহহীনদের ঘর উপহার দেওয়া সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন: প্রধানমন্ত্রী

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২২ | ০৭:১৭ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২ | ০৭:১৮

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। এই ঘর উপহার দেওয়াকে জীবনে সবচেয়ে আনন্দের দিন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে আরু ৬৫ হাজার ৪৭৪ টি ঘর দেওয়া হবে। সম্পূরক প্রশ্নে ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীকে তার আনন্দের স্মৃতি সংসদ বর্ণনা করতে অনুরোধ করেন।

স্বাধীনতার পরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার স্বপ্ন ছিলো দেশের কোন মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিলো।

জাতির পিতার লক্ষ্য পূরণ করাই একমাত্র কাজ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকে ভূমিহীন মানুষদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি এবং পুর্নবাসন করে যাচ্ছি। আমরা শুধু ঘর দিয়ে বসে থাকছি না, ঘর দেওয়ার পরে তাদের অর্থ দিচ্ছি, প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আয়ের পথও করে দিচ্ছি। আমার জীবনে বোধহয় ১৫ আগস্টের পরে যে দুঃখ, কষ্ট, যতনা ভোগ করতে হয়েছে, সেই দুঃখের মধ্যে দিয়ে, বোঝা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম বাবার স্বপ্ন পূরণে।

ঘর দেওয়ার উপহার দেওয়ার পরে নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটা খুব ভালোভাবে মনিটরিং করেন। কার্যালয়ে সচিব ও কর্মকর্তারা প্রায়ই যাচ্ছেন, তারা কেমন আছেন দেখছেন। দেখে আসার পরে যে ছবি আমাকে পাঠালো। ঘর পাওয়ার পরে মানুষের যে অনুভূমি, একটা ঠিকানা পেয়েছে, সেই আনন্দে যে কান্না। সেই হাসি, কান্না, বেদনা উপলব্ধি করে, সেদিন আমিও একটা মানুষ, একটা পরিবার যার একটা ঠিকানা পেয়েছে। ঘর পাওয়ার পরে জীবনটা যে পাল্টে গেছে। অভাব, দারিদ্র নেই। নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, এটা আমার জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন। একজন মানুষ, যার কিছু ছিলো না, আমরা তাকে একটা ঘর দিয়ে তার মুখে হাসি ফুটাতে পারছি। এর থেকে বড় আনন্দের কিছু হতে পারে না। সেদিন আনন্দে চোখের পানি রাখতে পারিনি। আমি অঝোর ধারায় কেঁদেছিলাম। কারণ এটাইতো আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো।

এখন অনেকের ঘরে ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ নানান আসবাব পত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, একটা মানুষকে যে ঠিকানা দিতে পেরেছি, জীবনটাকে পাল্টে দিতে পারলাম, এরচেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদের আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদ গরম করা হলো, সেই জন্যই আমি যখন প্রশ্নগুলো (তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন) পেলাম, এটা এক নম্বরে নিয়ে আসলাম। ভাবলাম যে আজকে উত্তর দিবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব আমাদের উপর পড়েছে এটা স্বাভাবিক। আর কিছু লোকতো আছেই, যারা সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করে। সেটা যাতে নিতে না পারে, তার জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের বিরোধী দলের একজন সদস্য (বিএনপির হারুনুর রশীদ), তিনি আজকে নেই। থাকলে ভালো হতো। তিনি বললেন যে, খেজুর রিকশাওয়ালারা কিনবে না। রিকশাওয়ালারা খেজুর খাবে না কেন? আমরা কিন্তু প্যাকেজে খেজুর সবজায়গায় দিচ্ছি না। কিছু ঢাকা শহরে রাখা হয়েছে, যেটা টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×