এডিবির প্রতিবেদন
টিকাদানে এশিয়ায় ১৯তম বাংলাদেশ

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২২ | ২০:৫৭ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০২২ | ২০:৫৭
চলতি বছর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এডিবি।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রকাশিত 'এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সাপ্লিমেন্ট' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। গত এপ্রিলে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।
প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানোর মূল কারণ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক সংকোচনশীল মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, করোনার নতুন ঢেউ, চীনের অর্থনীতির ধীরগতি ইত্যাদি কারণ বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট ও ভারতে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে সংস্থাটি।
এডিবি বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। গত এপ্রিলের প্রতিবেদনে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল এশিয়ার এ অঞ্চলের জন্য।
অন্যদিকে, এ বছর এশিয়ার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলেও মনে করছে এডিবি। সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। গত এপ্রিলের প্রতিবেদনে চলতি বছরের জন্য এ পূর্বাভাস ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মে মাসের হিসাবে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম মূল্যস্ফীতি মালদ্বীপে। দেশটিতে এ হার ছিল মাত্র ১ দশমিক ২০ শতাংশ।
এদিক থেকে শ্রীলঙ্কা তো বটেই; পাকিস্তান, নেপাল থেকে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। গত মে মাসে শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি ছিল ৪৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং নেপালে ছিল ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশে ছিল ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। ভারতের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের তুলনায় সামান্য কম, ৭ শতাংশ।
- বিষয় :
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি
- এডিবি
- টিকাদান
- মূল্যস্ফীতি