ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সেই অশীতিপর রাবেয়ার মামলার রায় ৩০ অক্টোবর

সেই অশীতিপর রাবেয়ার মামলার রায় ৩০ অক্টোবর

রাবেয়া খাতুন

 সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ১০:২৪

উচ্চ আদালতে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে অশীতিপর রাবেয়া খাতুনের মামলার ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক আল-মামুন ও সংশ্নিষ্ট আদালতের সহকারী পিপি শাহাবুদ্দিন মিয়াকে ওই দিন হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার আদালতে রাবেয়া খাতুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা। এর আগে গত ২০ আগস্ট সর্বশেষ শুনানি হয়।

অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ২০০২ সালের ২ জুন। এরপর তিনি গ্রেফতার হন; ছয় মাস কারাগারে থেকে জামিনও পান। পরে তাকেসহ দুই আসামি জুলহাস ও মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয় মামলার বিচার। কিন্তু গত ১৪ বছর আদালতে জুলহাসের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে ২০১৪ সালে মামলার তদন্ত কর্মকতা মারা যান। এছাড়া পলাতক আসামি জুলহাস জীবিত না মৃত এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন না থাকায় ডিএমপি কমিশনার ও তেজগাঁও থানা কর্তৃপক্ষকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেন দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

রাজধানী তেজগাঁও থানা এলাকার ৩/ক গার্ডেন রোড, কাজী আবদুল জাহিদের ঘরের দক্ষিণ পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাবেয়া খাতুনকে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ। সেই মামলা থেকে মুক্তি পেতে ঢাকার আদালতের বারান্দায় ১৮ বছর ধরে ঘুরছেন এই বৃদ্ধা।

চলতি বছর ২৫ এপ্রিল সমকালের প্রথম পৃষ্ঠায় 'আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে এর হাইকোর্টে জনস্বার্থে আবেদন করেন আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম নোবেল। এরপর ৩০ এপ্রিল এক আদেশে হাইকোর্ট ১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় রাবেয়া খাতুনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলার নথি তলব করে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচার বিলম্বের ব্যাখ্যা জানতে চান আদালত। এরপর কয়েকদফা শুনানি গতকাল শেষ হয়।

আরও পড়ুন

×